
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও জ্বালানি খাত বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের মতে, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটি ভারতের আধিপত্যের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি বিগত সরকারের আমলে শুরু হলেও, বর্তমান সরকারের উচিত প্রকল্পটি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া। তিনি বলেন, এ প্রকল্প বন্ধ করতে গিয়ে সাময়িক কিছু আর্থিক ক্ষতি হলেও তা আগের সরকারের দুর্নীতিবাজদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।
আজ শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছায়া সংসদের বিষয় ছিল—‘সঠিক পরিকল্পনার অভাবই জ্বালানি খাতে লুণ্ঠনের প্রধান কারণ’। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, “ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিদ্যুৎ না উৎপাদন করেও দেশের অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। এই চুক্তি ছিল দুর্নীতির বড় উৎস। আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তিটিও দেশের স্বার্থের পরিপন্থী।” তিনি বলেন, “কুইক রেন্টাল পদ্ধতি এখন আর কার্যকর নয়, এটি বাতিল করা দরকার।”
বিগত সরকারের আমলে জ্বালানি খাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তিনি বলেন, “এদের অনেকে কিভাবে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে, সেটি তদন্ত হওয়া দরকার। তাদের চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশ না করলে তারা ভবিষ্যতে নতুন মুখোশ পরে আবারও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়বে।”
বর্তমান সরকারের দায়মুক্তি আইন বাতিলের উদ্যোগ প্রসঙ্গে আনু মুহাম্মদ বলেন, “সরকার এই আইন বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু এখন নতুন কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা ভেঙে দিচ্ছে। আগের সরকার যেমন জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে ‘গণশুনানির’ নামে প্রহসন করেছিল, বর্তমান সরকার যেন সেই পথ অনুসরণ না করে।”
ছায়া সংসদ প্রতিযোগিতায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে ট্রফি, ক্রেস্ট এবং সনদপত্র বিতরণ করা হয়।