
সৈয়দ মুজিবুর রহমান দুলাল, লাকসাম.
কুমিল্লার লাকসামে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উদ্যেগে এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতীঁ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি, প্রবাসে মৃতের পরিবারকে আর্থিক অনুদান, ক্ষতিপূরণ ও বীমার চেক বিতরণসহ এক কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে৷
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের আওতায় বৃহস্পতিবার (১ মে) এসব আর্থিক অনুদান প্রদান, ক্ষতিপূরণ ও বীমার চেক বিতরণ করা হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ব্যারিস্টার মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওইদিন বিকেলে উপজেলার গণউদ্যোগ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে আয়োজিত এসব আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড.বদিউল আলম মজুমদার৷
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড’র মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ব্যারিস্টার মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার (ঐকমত্য গঠন), ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি, শিক্ষা ও আইসিটি) মো. তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদারের সহধর্মীনি তাজিমা হোসেন মজুমদার, মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহরিয়া ইসলাম, কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি, লাকসাম সার্কেল) সৌমেন মজুমদার, লাকসাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিফাতুন নাহার, মনোহরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন, লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানাসহ লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ৷
অনুষ্ঠানে এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ২১জন কৃর্তী শিক্ষার্থীকে ২৭ হাজার ৫০০ টাকা, এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৯জন কৃর্তী শিক্ষার্থীকে ৩৪ হাজার টাকা বৃত্তি এবং প্রবাসে মৃত্যুবরণকারী ৬টি পরিবারকে ১৮ লাখ টাকা আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।
এ ছাড়াও তিনজন প্রবাসীর পরিবারকে বীমা দাবির ২৪ লাখ টাকা এবং দুইটি মৃত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭২ লাখ ১৪ হাজার ৫৫৩ টাকা সর্বমোট ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫৩ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ব্যারিস্টার মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া জানান, কৃর্তী শিক্ষার্থী বৃত্তি, প্রবাসে মৃত্যুবরণকারী পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান, ক্ষতিপূরণ এবং বীমার দাবিসহ সর্বমোট ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫৩ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।