Sunday, April 27
Shadow

“চিন্তা, স্মৃতি ও বুদ্ধিমত্তা বাড়ানোর কার্যকর উপায়”

ত্রিশ পেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই শরীরে হরমোনের উৎপাদন কমে যায়, যার প্রভাব পড়ে চিন্তা, স্মৃতি, অনুভূতি ও বুদ্ধিমত্তার ওপর। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ধরে রাখতে এ সময় থেকেই নিতে হবে বিশেষ যত্ন। মনোবিদদের মতে, ত্রিশের পর মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।

১. ত্রিশের বেশি বয়সীদের শরীরের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রোটিন। আর মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজন ভিটামিন ডি এবং ম্যাঙ্গানিজ। পর্যান্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি এবং ম্যাঙ্গানিজের অভাবে ব্যক্তি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন। রাগ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। অর্থাৎ যে কোনো কিছু মনে করা কঠিন হতে পারে। সুতরাং এমন খাবার গ্রহণ করা উচিত যা শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য ভালো। 

২. আধুনিক জীবনে ব্যস্ততার শেষ নেই। ত্রিশের পরে ক্যারিয়ার, ফ্যামিলি, দায়িত্ব নিয়ে মস্তিষ্কে ক্রমাগত চাপ বাড়তে থাকে। এ থেকে তৈরি হয় নানাবিধ দুশ্চিন্তা, উত্তেজনা। এ সময় আপনি যদি মস্তিষ্কের উপর ক্রমাগত চাপ দেন, বিশ্রাম না দেন, তাহলে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেমন একটি রেলগাড়ির বিশ্রামের প্রয়োজন আছে; মস্তিষ্কও তাই। স্ক্রিন টাইম কমিয়ে ফেলুন। হাসি-খুশি থাকার উপায় খুঁজে নিন। 

৩. ত্রিশের পরে ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং টেস্টোস্টেরন জাতীয় হরমোনের উৎপাদন কমতে শুরু করে। যার প্রভাব পরে ব্যক্তির মন ও স্মৃতির ওপর। এই সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য ব্যায়াম করা জরুরি। ভার উত্তোলনের মতো ব্যায়াম বেশি উপকারী।

৪. ত্রিশের পরে মন সব সময় শান্ত রাখা কঠিন। সুতরাং মেন্টাল ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য একটি রুটিন ফলো করতে পারেন। মেডিটেশন, জার্নালিং, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। 

৫. লাভ হরমোন ‘অক্সিটোসিন’ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করে। যার ফলে ব্যক্তি অনেক বেশি একাকীত্ববোধ করেন, বিরক্তির প্রকাশ ঘটান। এই সময় পারিবারিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিন।

সূত্র: আভাসা মেন্টাল হেলথ থেকে অনূদিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *