
বৃষ্টি মানেই গরম থেকে স্বস্তি। তবে সঙ্গে থাকে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ে, যা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্মানোর আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। এর ফলে বাড়ে খাদ্যদূষণ, হজমের সমস্যা, ভাইরাস সংক্রমণ ও পানিবাহিত রোগের আশঙ্কা। আবার স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে এলার্জিও বেড়ে যায়। এসব ঝুঁকি এড়াতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাবার খাওয়া খুব জরুরি। এই কারণে বর্ষাকালে খাবার নির্বাচনে একটু বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। চলুন জেনে নেওয়া যাক—এই মৌসুমে কী খাবেন আর কী এড়িয়ে চলবেন।

বৃষ্টির দিনে কী খাবেন?
১. বাসায় রান্না করা গরম খাবার খাবেন:
গরম তাপে রান্না করলে বেশিরভাগ জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। তাই বাইরের খাবারের চেয়ে বাসার গরম ও টাটকা খাবারই নিরাপদ।
২. বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে:
বর্ষায় পানিবাহিত রোগ খুবই সাধারণ। তাই শুধু ফুটানো বা ফিল্টার করা পানি পান করতে হবে।

৩. বেশি বেশি মৌসুমি ফল খান:
এই সময় পাকা আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, বেদানা, কলা বা আপেলের মতো মৌসুমি ফল খাওয়া ভালো। তবে অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে ও খোসা ছাড়িয়ে খেতে হবে।

৪. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন খাবার:
লেবু জাতীয় ফল, আদা, রসুন, হলুদ ও সজনে পাতা এই সময় শরীরকে রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। সাথে টক জাতীয় ফল যেমন আমড়া, আমলকী, পেয়ারা, চালতা এমন অনেক দেশীয় ফল।

৫. হালকা ও কম তেলমসলাযুক্ত খাবার:
মুগ ডাল, খিচুড়ি, ডালিয়া বা ভাপা ইডলি জাতীয় খাবার সহজে হজম হয়। ভারী ও অতিরিক্ত মসলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

৬. প্রোবায়োটিক খাবার:
দই ও মাখনসহ প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার হজমে সহায়ক এবং পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া ধরে রাখে।

যে খাবারগুলো যথা সম্ভব এড়িয়ে চলবেন:
- রাস্তার খাবার: বেশিরভাগ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় এবং দূষিত পানি ব্যবহার করা হয়।
- সামুদ্রিক মাছ: বর্ষাকাল তাদের প্রজনন মৌসুম, তাই এই সময় মাছের গুণগত মান ভালো না-ও হতে পারে।
- কাটা ফল: রাস্তার কাটা ফল খেলে ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকে।
- কাঁচা বা অপরিশোধিত দুধ: দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই শুধু ফ্রেশ ও ভালোভাবে সংরক্ষিত দুধ খান।

খাবার সংরক্ষণে কিছু জরুরি টিপস:
- পচনশীল খাবার সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজে রেখে দিন
- বারবার গরম করা এড়িয়ে চলুন
- ফল ও সবজি লবণ ও ভিনেগার মেশানো পানিতে ধুয়ে নিন