
আগামী ১৪ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ক্লাব বিশ্বকাপ। এবারের আসর হবে ৩২ দলের অংশগ্রহণে, যা এটিকে করে তুলেছে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও আকর্ষণীয়। এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা একটি বিশেষ ট্রান্সফার উইন্ডো চালু করেছে, যা ইতোমধ্যে ২০টি সদস্য দেশের সম্মতি পেয়েছে। এই দেশগুলোর ক্লাবগুলোই এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করছে।
এই বিশেষ ট্রান্সফার উইন্ডো চালু থাকবে ১ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে ক্লাবগুলো তাদের স্কোয়াডে নতুন খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে, যাতে করে তারা ক্লাব বিশ্বকাপ শুরুর আগেই নিজেদের দলকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
পরবর্তীতে, ইউরোপের গ্রীষ্মকালীন নিয়মিত ট্রান্সফার উইন্ডো শুরু হবে ১৬ জুন থেকে, যা চলবে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ফলে দুইটি ট্রান্সফার পর্বের মাঝখানে মাত্র ছয় দিনের একটি ব্যবধান থাকছে।
এখানেই শেষ নয়। ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব শেষ হওয়ার পর, অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলো আবারও সুযোগ পাবে নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধনের—এই উইন্ডোটি চালু থাকবে ২৭ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত। এই সীমিত সময়ের ‘ইন-কম্পিটিশন ট্রান্সফার উইন্ডো’র মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় থাকা ক্লাবগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী দলে পরিবর্তন আনতে পারবে।
বিশেষ এই ট্রান্সফার সুবিধা শুধুমাত্র ক্লাব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর জন্যই নয়, বরং সেসব দেশের ঘরোয়া লিগের সব ক্লাবের জন্যই প্রযোজ্য হবে। সেই ২০টি দেশ হলো:
আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, ব্রাজিল, মিশর, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, মরক্কো, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, তিউনিসিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং যুক্তরাষ্ট্র।
এই দেশগুলোর ক্লাবগুলিই ৩২ দলের এই ক্লাব বিশ্বকাপে খেলবে এবং এই বিশেষ ট্রান্সফার সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে।
ফিফা জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ও ঘরোয়া লিগ মৌসুমের মধ্যে সমন্বয় আনা। অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে ক্লাবগুলোর চুক্তি এই সময় শেষ হয়ে যায়, ফলে তাদের টুর্নামেন্টে খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এই ট্রান্সফার ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই সমস্যা সমাধান করতে চায় ফিফা।
সংস্থাটি আরও বলেছে, “এই ব্যবস্থার মাধ্যমে নিশ্চিত করা যাবে যে, সেরা খেলোয়াড়রাই মাঠে থাকবে, এবং ক্লাবগুলো টুর্নামেন্ট চলাকালীনও প্রয়োজনে নতুন খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।”