Sunday, May 11
Shadow

মনের বাঁকে

অন্যের জীবন আলোকিত করে নিজেই এখন অন্ধকারে

অন্যের জীবন আলোকিত করে নিজেই এখন অন্ধকারে

ফিচার, মনের বাঁকে, সাহিত্য
মোঃ ফরমান উল্লাহ : হারিকেন ছিল এক সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ লাইট। হারিকেন ছাড়া শিক্ষার্থীরা ছিল অসহায়। সন্ধ্যা হওয়ার আগেই প্রথম কাজ ছিল রাতে পড়ার টেবিলের জন্য হারিকেন পরিষ্কার করা। এটা ছিল শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের কাজ। হারিকেন ছাড়া পড়ার টেবিল আলোকিত করার অন্য কোন মাধ্যম তেমন ছিল না। যারা নিম্নবিত্ত পরিবারে ছিল তারা হারিকেনের পরিবর্তে কুপি বাতি ব্যবহার করতো। নব্বই দশকের দিকেও হারিকেনের প্রচলন ছিল। তখনও বিদ্যুতের ছোঁয়া পায়নি অনেকে। যারা শহরে বাস করতো তাদের ঘরে হয়তোবা বিদ্যুতের আলো জ্বলত। তারা লোডশেডিং এর ভয়ে প্রত্যাকের ঘরে বিকল্প হিসাবে হারিকেন সংরক্ষনে রাখত। এই হারিকেনের আলোয় আলোকিত হয়েছে কোটি শিক্ষার্থীর জীবন। বর্তমানে বিদ্যুতের সংস্পর্শে হারিকেনের ব্যবহার নাই বললেই চলে। যে হারিকেন অন্যের জীবন আলোকিত করেছে সে-ই এখন অন্ধকারে পতিত হয়েছে। বর্তমান যুগে অনেকেই হারিকেন চিনবে না ...
বিকেলের আকাশ, এখন শুধুই স্মৃতি?”

বিকেলের আকাশ, এখন শুধুই স্মৃতি?”

মনের বাঁকে, সাহিত্য
ফিয়াদ নওশাদ ইয়ামিন, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি : এক সময় বিকেল মানেই ছিল মাঠে ছুটে যাওয়া। পাড়া-মহল্লার মাঠগুলো কিশোরদের প্রাণের জায়গা। এখন সেই মাঠগুলো হারিয়ে গেছে বহুতল ভবনের নিচে, কোথাও মার্কেট, কোথাও পার্কিং। তারপর প্রশ্ন তোলা হয়—“তরুণরা এত মোবাইলমুখী কেন?” একটা জেনারেশনকে বোঝানো হয়েছিল, বিকেলে মাঠে খেলতে যাওয়ার চেয়ে টিউটরের কাছে বসা বেশি জরুরি। তারা মাঠ ছেড়ে পড়ার টেবিলে গেল। আর মুরুব্বিরা দেখলেন, মাঠ ফাঁকা ফেলে না রেখে সেখানে ইমারত তুললে সেটা বেশি ‘প্র্যাকটিকাল’। ধীরে ধীরে বেঁচে থাকার সব সুস্থ আনন্দের পথ বন্ধ হতে থাকল। তরুণরা সেটা রিপ্লেস করল মোবাইল, গেম, রিলেশনশিপ, আর কখনও কখনও গ্যাং দিয়ে। তারপর প্রশ্ন তোলা হয়—“তরুণরা এত মোবাইলমুখী কেন?” আসলে প্রশ্নটা উল্টো হওয়া উচিত—তাদের আসল বিকল্পটুকু কেড়ে নিল কে? খেলাধুলাকে যখন ‘সময় নষ্ট’ বলা হ...