Friday, May 9
Shadow

কলাম

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রভাব: বাংলাদেশের ভূমিকা ও সম্ভাব্য পরিস্থিতি

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রভাব: বাংলাদেশের ভূমিকা ও সম্ভাব্য পরিস্থিতি

কলাম
মোঃ জামাল হোসেন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান স্নাতকোত্তর), শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালক, ন্যাশনাল গার্লস মাদ্রাসা, ফেনী। "দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ—ভারত এবং পাকিস্তান। সাম্প্রতিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে সীমান্ত সংঘর্ষ ও ড্রোন হামলার মাধ্যমে। এমন উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র বাংলাদেশ কি সম্পূর্ণ নিরাপদ? যুদ্ধের উত্তাপ কি ছড়িয়ে পড়তে পারে পূর্ব দিকেও?" বাংলাদেশের সম্ভাব্য লাভ-ক্ষতি কি হতে পারে? "যদি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার উপর প্রভাব পড়বে নিঃসন্দেহে। বিশেষ করে, ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বড় ধরনের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর হয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে চলা বাণিজ্য কার্যক্রম স্থবির হয়ে যেতে পারে। বাণিজ্যিক রুটগুলোতে অবরোধ, শরণার্থী স্রোত এবং আঞ্চল...
কেন বাড়ছে এই জেনারেশন কনফ্লিক্ট

কেন বাড়ছে এই জেনারেশন কনফ্লিক্ট

কলাম
সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জেনারেশন কনফ্লিক্ট। একটা জেনারেশন আরেকটা জেনারেশনকে সহ্য করতে পারছে না। একটা জেনারেশন আরেকটা জেনারেশনকে বিভিন্ন কারণে দোষারোপ করছে, সৃষ্টি হচ্ছে জেনারেশন কনফ্লিক্ট বা বিভাজনের। একটা জেনারেশন বিচ্ছিন্ন হচ্ছে আরেকটা জেনারেশন থেকে। ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছে একটা প্রজন্ম আরেকটা প্রজন্ম থেকে। আমরা পৃথিবীর মানুষরা সময়ের স্রোতে ভেসে ভেসে এমন একটা সময়ের এসে পৌঁছেছি যখন একই সঙ্গে বিভিন্ন সময়ের মানুষ একত্রে বসবাস করছি। কারো প্রযুক্তি ছাড়া চলে না আবার অনেকের প্রযুক্তি সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। আমাদের আশেপাশে এখনো এমন অনেক মানুষ আছে যাদের প্রযুক্তি সম্পর্কে কোন প্রকার ধারণা নেই। তাদের বেশিরভাগই সারাদিনের কর্ম ক্লান্তি শেষে রাতে দুমুঠো খেয়ে সকালের অপেক্ষায় ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল হলে আবার তারা মাঠে গিয়ে ফসল ফলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আরেকটা শ্রেণি আছে যারা অর্ধেক আধুনিক প্রযুক্ত...
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত: বাংলাদেশের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ নাকি সম্ভাবনা?

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত: বাংলাদেশের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ নাকি সম্ভাবনা?

কলাম
২০২০ সালের ২৯ জুন ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (CBIC) বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য তৃতীয় দেশে পাঠানোর জন্য ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা কলকাতা সমুদ্রবন্দর, নবসেবা বন্দরের পাশাপাশি কলকাতা বিমান কার্গো কমপ্লেক্স ব্যবহার করে পণ্য গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারছিলেন। এতে পরিবহন খরচ হ্রাস, সময় সাশ্রয় এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বাজারে প্রবেশ সহজ হয়েছিল। কিন্তু এই সুবিধা প্রায় পাঁচ বছর পর, ২০২৫ সালের ৮ এপ্রিল ভারতের সরকার হঠাৎ করেই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার কারণে ভারতের নিজস্ব রপ্তানি কার্যক্রমে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি ...
মুক্তির ঋণ শোধ করতে গিয়ে বৈষম্যের চোরাবালিতে বাংলাদেশ?

মুক্তির ঋণ শোধ করতে গিয়ে বৈষম্যের চোরাবালিতে বাংলাদেশ?

কলাম
ফিয়াদ নওশাদ ইয়ামিন: বাংলাদেশ আজ স্বাধীন—পাসপোর্টে, মানচিত্রে, জাতিসংঘের সভায়। কিন্তু স্বাধীনতার প্রকৃত চর্চায়, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মেরুদণ্ডে এখনও কি আমরা সত্যিকারের স্বাধীন? ১৯৭১ সালে আমাদের পাশে দাঁড়ানো এক 'মিত্র রাষ্ট্রের' প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে জানাতে আমরা যেন আজও মাথা নিচু করে চলি। এই কৃতজ্ঞতা এখন এমন এক মনস্তাত্ত্বিক দায়ে পরিণত হয়েছে, যার সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি বারবার আমাদের ওপর বৈষম্য আর আধিপত্য চাপিয়ে দিচ্ছে। ভারতের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের মনেভাব নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন। আমার কথা হল, বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী ভারতীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করাকে কি কখনোই ভারত বিদ্বেষ বলা যায়? জলবন্টন থেকে শুরু করে সীমান্তে হত্যা, ট্রানজিট সুবিধা থেকে একচেটিয়া বাণিজ্য, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন—সব জায়গাতেই একধরনের অদৃশ্য শেকলে বাঁধা প...