
বাংলাদেশসহ মেক্সিকো, চীন, পেরু, পাকিস্তান, স্পেন, ভারত এবং আরও পৃথিবীর অনেক দেশে চাষ করা হয় মরিচ গাছটি। এটি একটি মশলা জাতীয় উদ্ভিদ। আমাদের উপমহাদেশে ১৫ শতকের শেষ দিকে পর্তুগিজরা দক্ষিণ আমেরিকা থেকে মরিচ আমদানি করেছিল। কাঁচা মরিচ রান্নায় তরকারীতে ব্যবহার করা হয় আবার সালাত হিসেবেও কাঁচা মরিচের ব্যবহার আছে। শুকনা মরিচও রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয় তবে শুকন মরিচকে গুড় করে তা রান্নায় তরকারীতে দেয়া হয়। বর্তমানে যে কোন রান্নায় মরিচ ছাড়া কল্পনা করা যায় না।
ভারত হল বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক এবং মরিচ ব্যবহারকারী দেশ। মরিচ সঠিক মাটি প্রস্তুতি এবং আবহাওয়ার সাথে গ্রীনহাউস, খোলা মাঠ, টবে, কনটেইনারে এবং অন্যান্য স্থানে চাষ করা যেতে পারে।

চাষের প্রয়োজনীয় তথ্য:
মরিচের উন্নতির জন্য আর্দ্র, শুষ্ক এবং উষ্ণ তাপমাত্রার একটি সমন্বয় প্রয়োজন। ফলের পরিপক্বতা শুষ্ক অবস্থায় সর্বোত্তম হয়। মরিচ বাড়ানোর জন্য প্রায় কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে, সেই সময়ে বাইরে উষ্ণ এবং আর্দ্র থাকা উচিত।
সবুজ মরিচের বৃদ্ধির জন্য আদর্শ তাপমাত্রা ২০ থেকে ২৫°C। ৩৭°C বা তার বেশি তাপমাত্রা ফলের বিকাশে প্রভাব ফেলে। আবার ভারী বৃষ্টির কারণে গাছগুলো পচে যায়।
কম আর্দ্রতা ফুলের সময়ে স্থানান্তরণ বৃদ্ধি করে যার ফলে কুঁড়ি এবং ফুল পড়ে যায়। অনিয়মিত আবহাওয়া অবস্থার কারণে ফুলহীনতা বা মরিচের ফলন কম হতে পারে।
মরিচ চাষের জন্য মাটির সঠিক প্রস্তুতি নেয়া জরুরী। মরিচের বৃদ্ধির জন্য আর্দ্র, শুষ্ক এবং উষ্ণ তাপমাত্রার সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণও ভূমিকা পালন করে। তাই মরিচের ক্ষেত্রে ফল পরিপক্ব করার জন্য শুষ্ক আবহাওয়াকে উপযুক্ত বলে মনে করা হয়।
সবুজ মরিচ চাষ করার জন্য ২০ থেকে ২৫°C তাপমাত্রা পরিসর সবচেয়ে ভালো। ৩৭°C বা তার বেশি তাপমাত্রায় ফলের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়।
যে সকল কারণে মরিচের ফুল মারা যায় তা হল:
পরিবেশের তাপমাত্রার ওঠানামা যার ফলে ফুলের পতন এবং সঠিক বিকাশ না হওয়ার কারণ হতে পারে। মরিচ উৎপাদনে মৌমাছি এবং প্রজাপতিরাই প্রধান পরাগায়ক। তাই সঠিক পরিমানে মৌমাছি ও প্রজাপতির অনুপস্থিতির কারণে সঠিক ভাবে পরাগায়ন নাও হতে পারে।
উত্তম পুষ্টির নাইট্রোজেন মরিচ ফুলের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবার অতিরিক্ত নাইট্রোজেন গাছের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
গাছে পানি কম দেওয়া বা অতিরিক্ত সেচ, দুটোই গাছের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গাছ রপনের সময় সঠিক দূরত্ব বজয় না রাখলে গাছে বৃদ্ধিতে বাধা পরতে পারে।

মরিচ গাছের এই সকল সমস্যা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কিভাবে করবেন:
তাপমাত্রা
গাছের জন্য সূর্যের তাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি মরিচ গাছ বাইরে আবাদ করা হয়, তাহলে সকালবেলা সূর্যালোক এবং দুপুরের গরম সূর্য থেকে ছায়া পাওয়া যায় এমন স্থানে গাছটি লাগান, যাতে তাপমাত্রার কারণে ফুল ঝরা কমে।
আদ্রতা
গাছে আদ্রতার দিকে নজর রাখতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী গাছে পানি স্প্রে করতে হবে। আদ্রতা বেশি যাতে না হয়ে যায় সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
নাইট্রোজেন স্তর
সঠিক নাইট্রোজেন স্তর বজায় রাখার প্রথম পদক্ষেপ হল মরিচ গাছ লাগানোর আগে যথেষ্ট পরিমাণে কম্পোস্ট যোগ করা। যদি অতিরিক্ত নাইট্রোজেন প্রয়োজন হয়, তবে মরিচ গাছগুলিতে সার প্রদান করতে হবে।