Thursday, July 17
Shadow

ছাং’এ-৭ মিশনে চাঁদে যাবে সিসমোগ্রাফ

চীনের পরবর্তী চন্দ্র মিশন ছাং’এ-৭ এ থাকবে একটি অত্যাধুনিক সিসমোগ্রাফ, যার মাধ্যমে চাঁদের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ এবং অভ্যন্তরীণ গঠন বিশ্লেষণ করা হবে। ২০২৬ সালের দিকে এই মিশন উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর সদস্য এবং ভূতত্ত্ব ও ভূ-চৌম্বকীয় গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক উ ফুইয়ুয়ান।

সিএমজিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফুইয়ুয়ান বলেন, ‘সিসমোগ্রাফের সাহায্যে আমরা চাঁদের অভ্যন্তরীণ গঠন, বিশেষ করে চাঁদের নিকট ও দূর পার্শ্বের মধ্যে কোনও ভিন্নতা রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা করব।’

চাঁদ পৃথিবীর প্রতি ‘টাইডালি লকড’ থাকায় শুধু একটি দিক থেকেই আলো প্রতিফলিত হয় এবং সেই অংশটিই পৃথিবী থেকে দেখা যায়।

এর আগে চীনের ছাং’এ-৫ এবং ৬ মিশনে সংগ্রহ করা নমুনা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চাঁদের দুই পাশের উপাদানে বড় পার্থক্য রয়েছে।

ছাং’এ-৭ মিশনটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে লক্ষ্য করে উৎক্ষেপণ করা হবে। এখানে স্থায়ী ছায়াচ্ছন্ন গহ্বরে পানি আছে বলে ধারণা করা হয়। এই বরফের অস্তিত্ব খুঁজতে একটি ‘হপার’ নভোযানও পাঠানো হবে, যা লাফিয়ে লাফিয়ে ছায়াচ্ছন্ন গহ্বরগুলোয় গবেষণা চালাবে।

হপারটিতে থাকবে একটি ওয়াটার মলিকিউল অ্যানালাইজার, যা পানির অস্তিত্ব সম্পর্কে জানবে। অ্যাকটিভ শক অ্যাবজর্পশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদে অবতরণ করবে ওই হপার।

মিশনের সৌর প্যানেলগুলো উল্লম্বভাবে স্থাপন করা হয়েছে, যাতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর নিম্ন-কোণের সূর্যালোকও ধরা পড়ে। এ ছাড়া এতে থাকবে চীনের প্রথম ‘ল্যান্ডমার্ক ইমেজ নেভিগেশন’ প্রযুক্তি, যা চন্দ্রপৃষ্ঠে নির্ভুল অবতরণে সহায়তা করবে।

এর আগে ২০২৪ সালে ছাং’এ-৬ মিশন চাঁদের দূর প্রান্ত থেকে ১,৯৩৫.৩ গ্রাম নমুনা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনে।

সূত্র: সিএমজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *