Monday, June 30
Shadow

ওয়ার্ল্ড ওশান ডে- ২০২৫ : সমুদ্র ভাবনায় জেগে উঠল বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি

“আমাদের যা টিকিয়ে রাখে, তা টিকিয়ে রাখাই দায়িত্ব”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি (বিএমইউ) যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করেছে ‘ওয়ার্ল্ড ওশান ডে ২০২৫’। দিবসটি উপলক্ষে আজ ২৫ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্স-এর আয়োজনে মিরপুর-১৪ এর শহীদ মোয়াজ্জেম হল অডিটোরিয়ামে একটি বর্ণাঢ্য সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য রিয়ার অ্যাডমিরাল ড. খন্দকার আক্তার হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্স ফ্যাকাল্টির ডিন কমোডর শেখ শাহীদ আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিটাইম রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিমরাড)-এর মহাপরিচালক কমোডর সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন আহমদ (অব.)। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেরিন বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাজির হোসেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতার পাশাপাশি মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের ইহসানুল হক এবং পোর্ট অ্যান্ড শিপিং বিভাগের ফজলে রুহান নুহাশ পৃথক দুটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সেমিনারে আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল—সমুদ্র সম্পদের সংরক্ষণ ও ব্যবহার, গভীর সমুদ্র মৎস্য আহরণে প্রযুক্তি উদ্ভাবন, তেল-গ্যাস ও খনিজ সম্পদ সংগ্রহ, সাগর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, নিরাপদ নৌ-পরিবহন, সমুদ্র দূষণ প্রতিরোধ, মেরিটাইম পর্যটন, এবং সমুদ্রকেন্দ্রিক নতুন ব্যবসায়িক ধারণা। এ ছাড়াও উচ্চতর মেরিটাইম শিক্ষা, গবেষণা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং শিল্প-একাডেমিয়া সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

সমাপনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিটাইম খাতের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে দক্ষ জনবল গঠনের মাধ্যমে এই খাতকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “সমুদ্রভিত্তিক জ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণায় অগ্রগতি না ঘটলে দেশের মেরিটাইম সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব নয়।”

‘ওয়ার্ল্ড ওশান ডে ২০২৫’-এর এ আয়োজন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, গবেষক এবং নীতিনির্ধারকদের জন্য সমুদ্র সম্পর্কিত নানামুখী আলোচনার এক তাৎপর্যপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *