আসাদুজ্জামান খান মুকুল
আমার হৃদয়ের গভীর আঁধারে এক নিভৃতে থাকা আলো ছিল,
সে আলো ধীরে ধীরে জ্বলে উঠেছিল নিঃশব্দ এক অগ্নিশিখার মতো– তেমনি নিঃশব্দে আবার নিভে গেল, যেন কুয়াশার ভিতরে ফুরিয়ে যাওয়া শ্বাস।
মুখে ছিল ফুটন্ত হাসির দীপ্তি, ভিতরে বহমান এক নীরব নদীর কান্না।
আমি খুঁজেছি তাকে, যাকে ভালোবেসেছিলাম নিঃশেষ আত্মার স্পর্শ দিয়ে।
যে ছিল আমার খুব কাছাকাছি, অথচ আজ তার চোখে লুকায় অচেনা আঁধার।
ভালোবাসা যেন এক অদৃশ্য বৃত্ত, যার কেন্দ্রে শুধুই শূন্যতা কাঁপে।
আমরা দু’জন নীরব ছায়া হয়ে পাশাপাশি হেঁটে যাই– একসাথে থেকেও একাকী, একে অন্যের ছায়াও ছায়াহীন।
দূরত্ব এখানে কেবল স্থানের নয়, এটি ভাঙা অনুভবের অস্পষ্ট রং।
আমি ছায়ায় হারিয়ে ফেলি সেই আলোর ছবি, যা একসময় ছিল আমার স্বপ্ন।
সত্যি আর মিথ্যার মাঝে দুলে ওঠে ঝাপসা এক রেখা–
আমি বুঝি না কোনটা বাস্তব, কোনটা কল্পনা।
চোখ দিয়ে নয়, অনুভবে মাপতে শিখেছি জীবন ও দীপ্তির মানে।
তাই আজ মাথা নিচু করে বরণ করি সেই নিভৃতে থাকা আলোকে।
ভাঙা আলো আমার — ক্ষত-বিক্ষত হলেও থেমে থাকে না তার ধারা।
তার মাঝে লুকিয়ে আছে আমার অস্তিত্বের অনামা গন্ধ।
আমি আর খুঁজি না আলো, খুঁজি তার নিঃশব্দ অর্থ, নিভৃত ব্যাখ্যা–
যে ব্যাখ্যা জানলে, নিজের ভেতরেই খুঁজে পাবো আমাকে।
তাই ছন্দহীন পথেও হাঁটতে শিখেছি আলোকের সন্ধানে —
যে আলো চিৎকার করে না,
শুধু নিভৃতে থাকে, তবু জানিয়ে যায় তার অনুপস্থিতি।
সেই নিভৃত আলোতেই খুঁজে পাই আমি পরম শান্তির ঠিকানা।
গ্রাম- সাভার
পোস্ট – হেমগঞ্জ বাজার
উপজেলা – নান্দাইল
জেলা – ময়মনসিংহ
বিভাগ- ময়মনসিংহ