
উত্তর চীনের বন্দরনগর থিয়েনচিনে চলমান ২০২৫ সালের গ্রীষ্মকালীন দাভোস সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে বুধবার।
বিশ্বনেতা ও অর্থনীতিবিদরা এদিন একতরফাবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলায় বিশ্বায়ন বজায় রাখা, পারস্পরিক বোঝাপড়া জোরদার এবং বৈশ্বিক সংযোগ বৃদ্ধির গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন।
তাদের মতে, একতরফাভাবে নেওয়া সিদ্ধান্ত ও বাণিজ্য রক্ষাবাদ বৈশ্বিক অর্থনীতিকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
‘একটি নতুন যুগের জন্য উদ্যোক্তা’ প্রতিপাদ্যে এ বছরের সম্মেলনটি হচ্ছে ‘১৬তম নিউ চ্যাম্পিয়নস বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫’। এখানে বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের ১,৭০০ জনেরও বেশি অতিথি অংশ নিয়েছেন। যা সম্মেলনটিকে সর্বকালের অন্যতম বৃহৎ আসরে পরিণত করেছে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের মূল অধিবেশনে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং তার বক্তব্যে জানান, ‘বিশ্বকে এখন গঠনমূলক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার দিকে এগোতে হবে। অবাধ বাণিজ্য ও বহুপাক্ষিকতাকে রক্ষা করতে হবে, যাতে বিশ্ব অর্থনীতি স্থিতিশীলভাবে এগিয়ে যেতে পারে।’
চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও চাপ উল্টো চীনের উৎপাদন খাতকে আরও মজবুত ও আত্মনির্ভর হতে উৎসাহিত করছে জানিয়ে সেশন আলোচনায় চায়না সোসাইটি অফ ইকোনমিক রিফর্মের সভাপতি পেং সেন বলেন, ‘জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে বিশ্ব উৎপাদনের ৪০ শতাংশেরও বেশি চীন থেকেই আসবে।’
এদিকে থিয়েনচিন ফোরামের এক সাক্ষাৎকারে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেন, ‘চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে পার্থক্য থাকতেই পারে, কিন্তু আমাদের উচিত চীনকে বোঝার চেষ্টা করা। শুধু পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে চীনকে দেখা হলে ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে, যা সংঘাতের জন্ম দিতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে বিশ্ব সংঘাত সহ্য করতে পারবে না। তাই আলোচনার জায়গা খোলা রাখতে হবে।’
এবারের আলোচনায় উঠে এসেছে চীনের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, মানুষ ও প্রকৃতিতে বিনিয়োগ, নতুন জ্বালানি ও উপকরণ, শিল্পখাতের ঝুঁকি এবং বিশ্ব অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি।
সূত্র: সিএমজি