Saturday, June 28
Shadow

লাকসামে করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে গণসচেতনতার লক্ষ্যে প্রেসমিট


সৈয়দ মুজিবুর রহমান দুলাল, লাকসাম: কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রেসমিট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৫ জুন) পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রেস মিট অনুষ্ঠানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আলম’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক কাউছার হামিদ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আলম করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টিসহ উপজেলা স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন অগ্রগতি সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট বিস্তারিত তুলে ধরেন।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া, অন্যান্য দেশসমূহের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় আমাদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ব্যক্তিগত পরিছন্নতাসহ প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, নাকমুখ মাক্স দিয়ে ঢেকে রাখা, আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মূখ স্পর্শ না করা ও হাঁচি কাশির সময় বাহু, টিস্যু, কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগের আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়া ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সকলকে স্বাস্থ্য বার্তা মেনে চলাসহ বাড়ির আঙ্গিনা ও মশার ডিম পাড়া ও বংশ বিস্তারের স্থান পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানানো হয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আলম জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাসজনিত জ্বর যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। সাধারণ চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সেরে যায়, তবে ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম এবং হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারত্বক হতে পারে। এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি রোধের মাধ্যমে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক কাউছার হামিদ বলেন, এখন বৃষ্টি ও বর্ষা মৌসুম। ফলে এ সময় ওইসব রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই সকলেই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।


ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের ঘরে, বাড়ির আঙ্গীনায় এবং আশেপাশে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যে কোনো পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা বৃষ্টির পানি  ফেলে দিলে এডিস মশার জন্মাবার সুযোগ পাবে না।

তিনি আরো বলেন, বাসা-বাড়িতে ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারী শেল ইত্যাদিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে যাতে পানি না জমে। দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী ব্যবহার করতে হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, সমাজ সেবা কর্মকর্তা উপন্যাস চন্দ্র দাস, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. আখতার হোসেন, পৌর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমরান আল মেহেদী প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *