
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতে। তেহরানে ইরানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সদর দফতর ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরাইল। এদিকে ইসরাইলের দিকে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। তবে তিনি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সম্ভাব্য সব বিকল্প বিবেচনায় রাখছেন।
এর আগে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ইরানের ভূখণ্ডে হামলা চালালে তার “গুরুতর ও অপূরণীয় পরিণতি” হবে।
ইসরাইলের টানা হামলায় ইরানে মৃতের সংখ্যা ২৪০ ছাড়িয়ে গেছে, যাদের মধ্যে ৭০ জন নারী ও শিশু রয়েছে। ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরাইলে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনে ৫৫ হাজার ৪৯৩ জন নিহত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২৯ হাজার ৩২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত ৭ অক্টোবর হামলায় ইসরাইলে প্রায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
চলমান এই সংঘাতে পুরো অঞ্চলজুড়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনো সময় বড় ধরনের যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে, যার প্রভাব মধ্যপ্রাচ্য ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও ছড়িয়ে পড়বে।