Friday, June 20
Shadow

টানা বৃষ্টিতে উপকূলীয় পাইকগাছার জনজীবন বিপর্যস্ত

পাইকগাছাঃ বৃষ্টিস্নাতের মধ্য দিয়ে শুরু হলো আষাঢ়ের আগমন। একটানা ৫ম দিন। মাঝেমধ্যে একটু বিরতিতে বৃষ্টিতে পাইকগাছায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষ গুলো পড়েছে বিপাকে। বিশেষ করে পৌর সদরে। প্রধান সড়কে ড্রেন না থাকা, বিকল্প পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পুকুর, খানাখন্দ, খেলার মাঠ পানিতে ভরে গেছে। অনেকের বাড়ির উঠোন, বাগান, ফসলের ক্ষেত, কোথাও বদ্ধ মৎস্য ঘের এর বাঁধ ছাপিয়ে গেছে। সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ, পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, কলেজ, সহ অফিস আদালতে পানি জমেছে। অপরদিকে ইউনিয়ন গুলোতেও বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। রবিবার রাত থেকে আষাঢ়ের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বেলা বাড়ার পর বৃষ্টির তীব্রতা বেড়ে যায়। টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েন ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ। উপকূলের নিম্নাঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পানির নিচে তলিয়ে গেছে ফসলের খেত। কাজে যেতে না পারায়

নিম্ন আয়ের লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। শ্রমজীবী মানুষ যারা  দিন এনে দিন খায়। এমন নির্মাণ শ্রমিক, রিকশা-ভ্যানচালক, হোটেল সহকারী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবার জীবিকা নির্ভর করে প্রতিদিনকার আয়-রোজগারের ওপর। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে তাদের জীবনের চাকা থমকে গেছে। টানা বৃষ্টিতে কৃষিপণ্য পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় বাজারে সবজির সরবরাহও কমেছে। এতে করে নিত্যপণ্যের দামে প্রভাব পড়তে পারে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, বৃষ্টিতে পাইকারি বাজার থেকে পণ্য আনতে সমস্যা হচ্ছে। চাহিদা বাড়লে দামও বাড়বে।পাইকগাছার বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের সিনিয়র সহকারি পরিচালক নাহিদুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে দেরিতে কাটা ধান শুকানোয় ব্যাহত হলে আশানুরুপ বীজ উৎপাদন হবে না। তাছাড়া আগাম তৈরি আমনের বীজ তলা পানিতে তলিয়ে ক্ষতি হয়েছে। নতুন করে বীজ তলা তৈরির কাজ চলছে। একনাগাড়ে বৃষ্টির কারণে সাময়িক ক্ষেতে পানি জমেছে। আশা করি দ্রুত পানি নিষ্কাশন হবে। এসময় ক্ষেতে পাট ছাড়া তেমন কোন ফসল নেই। যে সকল ক্ষেতে সব্জি মাটিতে রয়েছে তার কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া এ বৃষ্টিতে ফসলের তেমন কোন ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. একরামুল হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *