Friday, June 20
Shadow

লাকসামে প্রেমিককে খুঁজতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

সৈয়দ মুজিবুর রহমান দুলাল, লাকসাম : কুমিল্লার লাকসামে প্রেমিককে খুঁজতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর এক স্বজন (মামাতো ভাই) লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-লাকসাম পৌর এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশা চালক এনায়েত রহমান ওরফে সাক্কু, সাগর এবং স্বপন মিয়া।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) গ্রেপ্তারকৃতদের কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আগেরদিন সোমবার রাতে অভিযুক্ত অটোরিকশা চালকসহ তিনজনকে আটক করেন পুলিশ।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লাকসাম থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই তরুণী পাশবর্তী মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি লাকসামের একটি কারখানার শ্রমিক। তিনি গত ৮ জুন রিফাত নামে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে লাকসাম বাজারে আসেন। এ সময় এনায়েত রহমান ওরফে সাক্কু নামে একজন ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালক ওই তরুণীর প্রেমিক রিফাতকে খুঁজে দেওয়ার নাম করে লাকসাম রেলওয়ের জংশন প্ল্যাটফরমে নিয়ে যায়। সেখানে অধিক রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে। একপর্যায়ে প্ল্যাটফরমে অবস্থানরত কতিপয় বখাটেদের সঙ্গে যোগসাজসে ভোররাতের দিকে ওই তরুণীকে স্টেশনের অদূরে একটি পরিত্যক্ত টিনসেড ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালক এনায়েত রহমান ওরফে সাক্কুসহ খোরশেদ,সাগর ও স্বপন তাঁকে পালাক্রমে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগী ওই তরুণী কৌশলে পালিয়ে কর্মস্থলে আসেন এবং পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করেন।

সোমবার (১৬ জুন) রাতে পরিবারের সহায়তায় ভূক্তভোগী ওই তরুণী বিস্তারিত বিষয়টি লাকসাম থানায় জানান। ঘটনা জানার পর কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি, লাকসাম সার্কেল) সৌমেন মজুমদার এবং লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁদের নির্দেশনায় লাকসাম থানা
পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন।

এই ব্যাপারে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন- ২০০০ (সংশোধনী ২০২০) ৭/৯(৩)/৩০ ধারায় লাকসাম থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ওই মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ওসি আরো জানান, ভুক্তভোগী ওই তরুণীকে চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *