
টেস্ট ক্যারিয়ারকে বিদায় জানাতে যাচ্ছেন শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। আগেই অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তার শেষ টেস্ট ম্যাচটি হতে যাচ্ছে ১৭ জুন, গলে—বাংলাদেশের বিপক্ষে। যেখানে ২০০৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল তার টেস্ট ক্যারিয়ারেরও।
কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ যখন বাংলাদেশ, তখন ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেই বহুল আলোচিত ‘টাইমড আউট’-এর প্রসঙ্গ না উঠেই পারে না। বাংলাদেশের বিপক্ষেই তো ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘টাইমড আউট’ হয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসেন ম্যাথিউস। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত না হওয়ায় তাকে ফিরতে হয়েছিল মাঠ ছাড়াই।
ক্রিকেটবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’ এ সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে ম্যাথিউসের শেষ টেস্টের প্রাক্কালে তাকে নিয়ে আবারও তুলে আনে সেই বিতর্কিত ঘটনার প্রসঙ্গ। ওয়েবসাইটটির দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাথিউস স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমাকে টার্গেট করা হয়েছিল। কিন্তু তারা কেন এমন করেছিল, তা আমি জানি না।”
৩৮ বছর বয়সী এই সাবেক অধিনায়ক বলেন, “আমি তখন অনেক কথা বলেছিলাম, কারণ আমি হতাশ ও রাগান্বিত ছিলাম। আমি তো কোনো ভুল করিনি। ম্যাচ শেষে যখন ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের বিষয়টি ব্যাখ্যা করি, তখন তারা দুঃখ প্রকাশ করে। কিন্তু আমাদের জন্য ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি এখনো বুঝে উঠতে পারিনি, কেন তারা এমন আবেদনের পথ বেছে নিয়েছিল।”
তিনি আরো জানান, “আমার মনে হয়, আম্পায়ারদের তখন আরও বেশি হস্তক্ষেপ করা উচিত ছিল। আমি যখন ক্রিজে প্রবেশ করি, তখন নিশ্চিতভাবে দুই মিনিটের সময়সীমা পেরোয়নি। হ্যাঁ, ওই সময় আমার হেলমেট পড়ে গিয়ে ভেঙে গিয়েছিল, কিন্তু সেটা মাঠে প্রবেশের আগেই নয়। তাই আমার ক্ষুব্ধ হওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল।”
ম্যাথিউসের এই টাইমড আউট বিশ্বজুড়ে তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়। কারণ দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচটি ছিল দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয় পেয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির টিকিট নিশ্চিত করে। বিপরীতে শ্রীলঙ্কা হেরে যাওয়ায় ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা হয়নি তাদের।