
সজীব হাসান, আদমদীঘি বগুড়া : আসছে ঈদ অপেক্ষা ছুটির। সেই ছুটির পর পরিবারের সাথে ঈদ করতে এবং ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির জন্য কর্মস্থল থেকে জীবনের ঝুকি নিয়ে বাড়ি ফিরে লাখো মানুষ। পরিবারের সাথে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরার পালা শুরু হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেউবা ট্রেনে কেউবা বাসে আবার কেউবা অতিরিক্ত মালবোঝাই ট্রাকের উপরে চড়ে যেজার স্থানে যাচ্ছে। এ অবস্থা শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। ঈদের ছুটি শেষ ফিরতেই হবে কর্মস্থলে। কিন্তু ট্রেন-বাস সহ কোনও যানবাহনের টিকিট মিলছে না। এতে বিরম্বনায় পরতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে। আবার ট্রেনের টিকিট কেটেও ভিড়ের কারণে ট্রেনে উঠতে না পেরে যেতে পারছে না অনেক যাত্রী। এমন ঘটনা ঘটেছে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে। বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকাগামী সকল ট্রেনের ভিতরে এবং ছাদের উপরে উপচে পড়া ভিড়ের কারনে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই গন্তব্যে যাচ্ছে হাজারো মানুষ। বেশি ভিরের কারনে অনেক টিকিট কেটে ও ট্রেনে উঠতে না পেরে যেতে পারছেনা। তবে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে কর্তব্যরত কর্মকর্তা মদুদ আহমদ জানান, টিকিট কেটে যদি ভিড়ের কারনে কোন যাত্রী ট্রেনে উঠতে না পেরে যেতে না পারলে পরের ট্রেনে যেতে কোন বাধা নেই। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার খলিলুর রহমান বলেন সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশন একটি বৃহৎ স্টেশন। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী উঠানামা করে। ঈদের সময় কয়েক গুণ যাত্রী বেড়ে যায়। এক সময় এই শান্তার জংশন স্টেশন থেকে ঢাকা গামী ঈদ স্পেশাল ট্রেন দেওয়া হতো কিন্তু এখন সে ট্রেনটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বগুড়ার আদমদিঘীর সোহেল রানা বলেন সান্তাহার জংশন স্টেশন উত্তরবঙ্গের মধ্যস্থানে অবস্থিত। এ স্টেশন থেকে ঢাকা এবং খুলনার মধ্যে ট্রেন চালু করা হলে এই স্টেশনের যাত্রী সাধারণকে আর বিরম্বনায় পারতে হবে না। #