
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার উত্তেজনা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। একের পর এক হামলা ও পাল্টা হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে।
সর্বশেষ, ইরান একযোগে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তেল আবিব ও হাইফাসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির চিকিৎসা ও সংবাদমাধ্যম সূত্র।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা এর আগেই ইরানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। এসব হামলার লক্ষ্য ছিল ‘ইরানি পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত’ বিভিন্ন ঘাঁটি। তবে বাস্তবে এসব হামলা ইরানের বেসামরিক ও জ্বালানিখাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি করেছে। রাজধানী তেহরানের শাহরান তেল স্থাপনায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ইরানি গণমাধ্যম জানায়, ইসরায়েলি হামলায় গত দুই দিনে অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ জনই শিশু। আহত হয়েছে আরও ৮০০ জনের বেশি।
এমন অবস্থায় মধ্যস্থতাকারী শক্তিগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে, যেখানে উভয় নেতা ইসরায়েল-ইরান সংঘাত বন্ধের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
তবে, চলমান পরিস্থিতির মধ্যে ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ দফা আলোচনার বৈঠক বাতিল করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, “ইসরায়েলের এই লাগাতার আগ্রাসনের পর আলোচনার আর কোনো যৌক্তিকতা নেই।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘাত আরও দীর্ঘস্থায়ী হলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
সূত্র: আল জাজিরা