
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন জানিয়েছেন, ইরানে হামলা চালানোর আগে ইসরায়েলের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চলছিল। তবে হামলার সিদ্ধান্ত ছিল পুরোপুরি ইসরায়েলের নিজস্ব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিএনএন-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানি প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো সহায়তা আশা করছে কি না—এমন প্রশ্নে ড্যানন সরাসরি কোনো জবাব না দিয়ে বলেন, “আমি এ বিষয়ে জল্পনা করতে চাই না।”
এদিকে ইসরায়েলের এই ভয়াবহ হামলার কড়া সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক ইরানি-আমেরিকান অধিকার সংগঠন ন্যাশনাল ইরানিয়ান আমেরিকান কাউন্সিল (NIAC)।
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, “ইরানের অভ্যন্তরে ইসরায়েলের এই ব্যাপক বিমান হামলার আন্তর্জাতিক আইনের কোনো বৈধতা নেই।” তারা আরও দাবি করেছে, “এই অভিযান বহু নিরীহ মানুষের জীবন অপ্রয়োজনে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।”
ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
এনআইএসি বলেছে, “এই ঘটনার পুরো মাত্রা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—যুক্তরাষ্ট্রকে জড়িয়ে পড়তে পারে এমন একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের ঝুঁকি এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি, আর এই যুদ্ধ হলে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।”
সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, তারা যেন ইসরায়েলের এই হামলার নিন্দা জানায় এবং ইরানের সঙ্গে যেকোনো যুদ্ধের বিরোধিতা করে।