
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে এর আগেও নেতৃত্ব দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, তবে সেটা ছিল কেবল অন্যদের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে। এবার তিনি পাচ্ছেন স্থায়ী দায়িত্ব। এক বছরের জন্য ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মিরাজকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়ার পর নিজের অনুভূতি জানিয়ে মিরাজ বলেছেন, এটি তার স্বপ্ন পূরণের মুহূর্ত। ২৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বলেন, “বোর্ড আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে—এটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া প্রত্যেক ক্রিকেটারের স্বপ্ন। বোর্ড যে আস্থা রেখেছে, সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”
মিরাজ আরও জানিয়েছেন, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলবে ভয়ডরহীন ক্রিকেট। দল ও খেলোয়াড়দের ওপর তার পূর্ণ আস্থা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে প্রতিভা আছে, আত্মবিশ্বাসও আছে। আমি চাই, কোনো বাধা ছাড়াই আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মাঠে নামি এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করি।”
ওয়ানডে ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণেই মিরাজকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনি বলেন, “বোর্ড মনে করে, ব্যাটে-বলে মিরাজের ধারাবাহিকতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতার মানসিকতা, নেতৃত্বগুণ এবং মাঠ ও মাঠের বাইরে তার উপস্থিতি—সব মিলিয়ে এই সময়ে ওয়ানডে দলের জন্য সে-ই উপযুক্ত নেতা। আমরা বিশ্বাস করি, তার আচরণ, মানসিক দৃঢ়তা ও পরিপক্বতা বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।”
মিরাজের স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট শুরু হবে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে। সফরে বাংলাদেশ খেলবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ, যা শুরু হবে আগামী ২ জুলাই।
তবে ওয়ানডের আগে ও পরে আরও দুটি টেস্ট এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ দল। সফরের শুরুটা হবে ১৭ জুন গলে প্রথম টেস্ট দিয়ে। এই সফরে তিন সংস্করণেই তিনজন আলাদা অধিনায়ক নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশকে। টেস্টে নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে থাকবেন লিটন দাস।