
ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর একটি “বৃহৎ হামলা” চালিয়েছে। এই অভিযানে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে বলে দেশটির সামরিক বাহিনী জানায়। এ ঘটনাকে তেহরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অন্যতম বড় সামরিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, এই সামরিক অভিযান চলবে যতক্ষণ প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, “আমরা ইরানের হুমকির জবাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না।”
হামলার পর ইরানি কর্তৃপক্ষ রাজধানী তেহরানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট স্থগিত করেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাজধানীর কিছু আবাসিক ভবনেও আঘাত হেনেছে ক্ষেপণাস্ত্র, তবে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি সতর্ক করে বলেন, ইরান যেন প্রতিশোধ নিতে গিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য না করে।
অন্যদিকে এই হামলার কিছু সময় আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ওয়াশিংটন এখনো তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার পক্ষে অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে ইসরায়েলি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা বাড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।