Saturday, June 14
Shadow

শ্রীবরদীতে কালভার্ট  নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ 

রিয়াদ আহাম্মেদ, শেরপুর: শেরপুরের শ্রীবরদীতে কাবিটা প্রকল্পের অর্থায়নে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্মানাধীন কালভার্টটিতে কাঠের বিপরীতে বাঁশ ও নিম্নমানের খোয়া, বালি, সিমেন্ট ও পরিমাণের চেয়ে কম রড ব্যবহারের অভিযোগ এলাকাবাসীর। ইতোমধ্যে কাভার্টটিতে বাঁশ ব্যবহারের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে আজ ১১জুন বুধবার সকালে সরেজমিন পরিদর্শন করেন শ্রীবরদী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার দাশ।

শ্রীবরদী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে তাঁতিহাটি ইউনিয়নের কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ছনকান্দা গ্রামে ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা অর্থায়নে কালভার্ট নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ৪ ফিট প্রস্থ ও ১৬ ফুট দীর্ঘের পাকা কালভার্ট নির্মানের কাজের সভাপতির দায়িত্ব পান ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রকল্পের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মেম্বার কালভার্ট নির্মাণের কাজটি স্থানীয় একটি রাজমিস্ত্রীর কাছে ৪০ হাজার টাকা চুক্তিতে নির্মানের দায়িত্ব দেন। যার ফলে রাজমিস্ত্রী তার খেয়াল খুশি মতো কাজ করেন। এভাবেই নিম্নমানের যন্ত্রাংশ দিয়ে কাজ শুরু হয়। স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে নির্মাণ হলে আগামী ছয় মাসের মধ্যেই ভেঙ্গে যাবে কালভার্টটি। ফলে সরকারের টাকা পুরোটাই গচ্চা যাবে।

এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী রিকশা চালক জমির উদ্দিন বলেন, ‘যেভাবে কাম হইতাছে এতে কালভার্টটি তিন মাসও টিকবো না। কামটা ভালা কইরা করা দরকার।’

স্থানীয় পথচারী রহিম মিয়া বলেন, প্রকল্পের একটা কাজও ঠিক মতো হচ্ছে না। নজরদারি করার কেউ নাই। খেয়ালখুশি মতো কাজ করে সবাই চলে যাচ্ছে, আর বিল তুলছে। কাজগুলো সঠিকভাবে বুঝিয়ে নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ রইল।

এ ব্যাপারে সরেজমিনে গিয়ে তাতিহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুর রউফের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি নিজেই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ফোন করেছি। নিয়ম মেনে কাজ করার জন্য যা করার দরকার তাই করা হবে।

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার দাশ বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হওয়ার সাথে সাথে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। বাঁশের পরিবর্তে কাঠের সেন্টারীং করতে নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়াও অন্যান্য অনিয়ম হলে তা দেখা হবে।

তবে প্রকল্পের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মেম্বার বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি ঠিকমতো কাজ করছি। কাজে কোন অনিয়ম হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *