
আশরাফ গোলাপ, কেন্দুয়া নেত্রকোনা : পবিত্র ঈদুল আজহা যতই এগিয়ে আসছে ততই ব্যস্ততা বেড়েছে নেত্রকোনার কেন্দুয়ার কোরবানীর পশুর খামারগুলোতে। তারা এখন পশুর পরিচর্যার পাশাপাশি গরু ছাগল ও কোরবানী উপযুক্ত পশু হাট-বাজারে নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কেন্দুয়া উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে ১১হাজার ২০টি পশুর। এর মধ্যে সুস্থ্যসবল কোরবানী উপযুক্ত পশু রয়েছে ১১হাজার ৮শ ৮৪টি। চাহিদার চেয়ে ৮শ ৬৪টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর কার্যালয়।
কার্যালয়ের অফিস সহকারি কামরুজ্জামান জানান, কেন্দুয়া উপজেলায় নিবন্ধিত গরুর খামার রয়েছে ১২টি। এতে ষাঁড় গরুর সংখ্যা ৯২২৮ টি,বলদ ২ টি,গাভী ১২৪ টি,ছাগল ২২৪৫ টি,ভেড়া ২৮৫টি কোরবানী যোগ্য রয়েছে। নিবন্ধিত এসব খামার ছাড়াও উপজেলাটিতে আরও শতাধিক অনিবন্ধিত খামার ও সৌখিন কৃষক ও গৃহস্থদের মৌসুমী পোষা পশু রয়েছে যা আমাদের তালিকাভূক্ত নয়। খামার ছাড়াও ব্যক্তিগত ভাবে পোষা ১/২ টি করে কোরবানী পশু প্রায় সব গ্রামেই রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এবছর আমাদের কোরবানীর পশুর ঘাটতি তো নেই-ই বরং চাহিদার চেয়ে বেশি রয়েছে। খামারের মালিক সাফায়েত,রেনু মিয়া, মাহবুব,সোহেল মিয়া,আফাজ উদ্দিন তারা জানান,গো খাদ্যের দাম বাড়ায় পশু পালনে অনেক খরচ বেড়ে গেছে। আমরা প্রাকৃতিক ভাবে পশু পালন করে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করছি। তারা আরও জানান, দেশীয় প্রকৃয়ার গরুর চাহিদা বেশী হবে বলে মনে করছি। তাই লাভবান হওয়ার আশা করছি বাকিটা সময়ই বলে দেবে।
এব্যাপারে কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মতিউর রহমান বলেন, খামারগুলোকে আমরা নিয়মিত দেখাশোনা করছি পরামর্শ দিচ্ছি। ওষুধ প্রয়োগ করে কেউ যেন গরু মোটাতাজা করতে না পারে সেই দিকেও লক্ষ্য রাখছি। এ ছাড়াও বাজার মনিটরিং করার ব্যবস্থা নিয়েছি এবং প্রতি পশুহাটে চিকিৎসার জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পের ব্যবস্থার পাশাপাশি নিজে তদারকি ও পরিদর্শনের ব্যবস্থা করছি। আশা করছি খুব সুন্দর ভাবে আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানী সম্পন্ন হবে।