
পিসি মন্ডল রিপোর্টার, পাইকগাছা : খুলনার পাইকগাছায় তরুণ প্রজন্মলীগ সভাপতি ও পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ব্যবসায়ী মিনারুল ইসলাম মিনার (৫০) কে পুলিশ থানা হেফাজতে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল সহ ওসি’র প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯ টায় বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা তাৎক্ষণিক ভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে থানার ওসি ( দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. ইদ্রিসুর রহমান’কে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহারের হুমকি দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, থানা পুলিশ সোমবার রাত সাড়ে ৯ টায় পৌরসভার শিববাটী বাড়ী থেকে মিনারুল ইসলামকে তুলে নিয়ে থানা হেফাজতে নেয়। এটি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে রাত ১০ টার পর থানা থেকে মিনারুল’কে ছেড়ে দেয়ার খবর পেয়ে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। নেতা-কর্মীরা রাতে উপজেলা সদর ও পৌরসভায় বিক্ষোভ মিছিল করে সংক্ষিপ্ত পথ সভা করেন। এ সভায় উপজেলা বিএনপি ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে চলতি দায়িত্ব ওসি (তদন্ত) ইদ্রিসুর রহমানকে প্রত্যাহারের হুমকি দিয়ে আওয়ামীলীগের দোসর মিনারুলকে গ্রেফতার দাবি করেন। উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাইকগাছা থানায় ওসি বদলির কারণে ওসি (তদন্ত) দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব পালন করা কালে তিনি কিছু আওয়ামী লীগের নেতাদের গ্রেফতার করে টাকার বিনিময়ে নরমাল মামলা দিয়ে তাদেরকে জামিনের সহযোগিতা করেন। গত সোমবার রাতে তরুণ প্রজন্ম লীগ সভাপতি ও পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ব্যবসায়ী মিনারুল ইসলামকে আটক করে। তার নিকট থেকে মোটা টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এ বিষয বিএনপি নেতা হুরাইরা বাদসা বলেন, ওসি তদন্ত মিনারুলকে আটকের কথা অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে তার নামে মামলা নাই বলে জানান। পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ডা. আব্দুল মজিদ জানান, আমরা খুলনা পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি হয়েছে। তাদের রিপোর্টের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলে ওসি তদন্ত এর আগে আওয়ামীলীগ নেতা মিনারুল ও জাকির হোসেনকে মোটা টাকার বিনিময়ে আমাদের বিএনপির অভ্যন্তরীণ একটি নরমাল মামলায় আটক দেখানো হয়। তিনি ওসি তদন্তের অপসরণের দাবি জানান। মিনারুলকে থানা হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) ইদ্রিসুর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা মামলা না থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, পাইকহাছা থানার ওসি তদন্ত ঈদ্রিসুর রহমানের আসামি থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তারা রিপোর্ট দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।