
লালমনিরহাট সীমান্তে ৮ ঘণ্টা পর এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ দুই বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিএসএফের সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর পতাকা বৈঠকের পর শনিবার রাত টার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট দিয়ে তাদের ফেরত আনা হয়।
এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারপাড় সীমান্তের ৮২৫ নম্বর সাব-পিলারের কাছ থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। তারা হলেন, পাটগ্রাম উপজেলার মোস্তাক হোসেনের ছেলে রিমন। তিনি এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। অন্যজন বগুড়া শহরের বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের ছেলে সাজেদুল ইসলাম। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮২৫ নম্বর মেইন পিলারের ১ নম্বর সাবপিলার-সংলগ্ন এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার পাশে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাটিয়ারভিটা সীমান্ত এলাকায় নো-ম্যান্স ল্যান্ডের কাছে একটি চা বাগানে ঢোকেন বাংলাদেশি এই দুই যুবক। তারা চা বাগানে ঢুকে মোবাইল ফোনে টিকটক ভিডিও ধারণ করছিলেন। এসময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করে ভারতে নিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই বিজিবি দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে উভয় পক্ষের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দুই বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত আনা হয়।
ফেরত আসা রিমন ও সাজেদুল জানান, পরিবারের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। এ জন্য বিজিবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের পরিবার।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বলেন, পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানালে সাড়া দিয়ে বিএসএফ দুই শিক্ষার্থীকে রাতে ফেরত দিয়েছে।
সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা না বুঝে নোম্যান্স ল্যান্ডে ঢুকে পড়েছিলাম। চা বাগানের কয়েকটি দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করছিলাম। এসময় বিএসএফ আমাদের আটক করে।’
৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ধবলসুতি বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার মোক্তার হোসেন বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকের পর আটক দুই বাংলাদেশিকে বিএসএফ হস্তান্তর করে। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।