রানি এলিজাবেথের রাজত্বকালে এ পর্যন্ত ১০ জন হয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।
বাকিংহাম প্যালেসে রানির দেওয়া প্রটিতে এ পর্যন্ত অংশ নিয়েছে প্রায় ১১ লাখ মানুষ। ব্যক্তিগত পার্টিতে প্রায় উপস্থিত থাকেন ছয় থেকে আট জন। পরিবেশন করেন দুইজন খাস চাকর।
এ পর্যন্ত রানি আনুষ্ঠানিক সফর করেছেন ১২৯ টি দেশ। ১৫ বার গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ২৩ বার, নিউজিল্যান্ড ১০ বার।
উপহার হিসেবে অনেক কিছুর পাশাপাশি রানি পেয়েছেন জিবন্ত প্রাণীও। ব্রাজিল থেকে পেয়েছেন জাগুয়ার, স্লথ। কানাডা থেকে পেয়েছেন বিভার। এছাড়া উপহার পেয়েছেন ডিম, আপেল এবং সাত কেজি চিংড়ি।
তিনি এপর্যন্ত পাঠিয়েছেন ৩৭ হাজার ৫০০ টি ক্রিসমাস কার্ড।
এপর্যন্ত প্রায় এক লাখ টেলিগ্রাম পাঠিয়েছেন ব্রিটেন ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশে।
তিনিই ব্রিটেনের প্রথম রানি, যিনি টিউবলাইট লাগাতে পারেন।
তিনি জীবনে প্রথম ই-মেইল পাঠান ১৯৭৬ সালে, সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে বসে।
রানির সত্যিকারের জন্মদিন ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল। তবে তিনি অফিশিয়ালি জন্মদিন পালন করেন জুন মাসেন কোন এক শনিবার।
তিনি সিংহাসনে বসেন ১৯৫৩ সালের ২ জুন।
স্কুলে ছিলেন গার্ল গাইডস। শখের বসে ফটোগ্রাফিও করেন। অবসরে পরিবারের সদস্যদের ছবি তুলতে ভালোবাসেন। এ ছাড়া ঘোড়ার প্রতিও তার মুগ্ধতা রয়েছে।
কুকুর পালতে পছন্দ করেন তিনি। ৩০ টি ওয়েলস জাতের কুকুর আছে তার।
ফরাসি ভাষায় অনর্গল কোথা বলতে পারেন ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা এই মানুষটি।
সারা বিশ্বে রানির ভাস্কর্য আছে ১১ টি। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাম্প্রতিকটি বানানো হয়েছে ইংল্যান্ডের উইন্ডসরে সেন্ট জর্জ গির্জার সামনে।
প্রথম ব্রিটিশ রানি হিসেবে ১৯৮৬ সালে তিনি চীন সফর করেন।
ব্যাক্তিগতভাবে তিনি তদন্ত করিয়েছেন ৫৪০ টির ও বেশি ঘটনার।
১৯৫২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত রানি ভূষিত হয়েছেন ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭০০ টি পদক ও সন্মাননায়।
তিনিই ব্রিটেনের একমাত্র মানুষ, যিনি লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালাতে পারেন। এবং রানির নিজের কোন পাসপোর্ট ও নেই।