
দু’আ বা প্রার্থনা- ইবাদাত সমূহের মধ্যে অন্যতম ফযিলতপূর্ণ ইবাদাত। আল্লাহ তা’আলা বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো (দু’আয্যার্থনা কর) আমি কবুল করবো। (সূরা গাফির/মুমিন ৬০) রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, দু’আ-ই ইবাদাত। (আবু দাউদ, কিতাবুদ দাওয়াত, ইবনু মাজাহ) আল্লাহ তা’আলার কাছে দু’আ বা প্রার্থনার চেয়ে সম্মানিত/পছন্দনীয় বস্তু আর কিছুই নেই। (আবু দাউদ, কিতাবুদ দাওয়াত) দু’আ মুমিনের শক্তিশালী হাতিয়ার। (আল-মুস্তাদরাক আলাস সাহীহাইন হা/১৮১২) আল্লাহ তা’আলা মুমিনের (বৈধ) সকল দু’আ কবুল করে থাকেন। (মুসনাদে আহমাদ, ২/৪৪৮; তিরমিযী, কিতাবুদ দাওয়াত) দু’আ ছাড়া আর কিছুই তাকদীর/ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে না। (তিরমিযী, কিতাবুল কুদর) দু’আকারীর জন্য রহমতের দরজা খুলে দেওয়া হয়। (তিরমিযী হা/৩৫৪৮)। এমনিভাবে- দু’আর গুরুত্ব ও ফযীলত বিষয়ক বিশুদ্ধ সূত্রে প্রামাণিত অসংখ্য হাদীস রয়েছে। এককথায়, দু’আর গুরুত্ব ও ফযীলত অপরিসীম। তবে দু’আ কবুলের মৌলিক কিছু শর্ত ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সে সকল শর্তাবলী পূরণ এবং প্রতিবন্ধকতা-সমূহ দূর করা আবশ্যক। দু’আ কবুলের মৌলিক শর্তাবলীঃ ১. আক্বীদা-বিশ্বাস ও আমলে শিরকমুক্ত হওয়া। ২. আকীদা-বিশ্বাস, কথা ও কাজে কুফরমুক্ত হওয়া। ৩. ইখলাস বা একনিষ্ঠতা ও ইয়াক্বীন বা দৃঢ়তা থাকা। ৪. হারাম খাদ্য/হারাম উপার্জন বর্জন করা। ৫. বান্দার হক বা অধিকার আদায়/করা। ৬. সুন্নাতে নববী (সা.)-এর যথাযথ অনুসরণে দু’আ করা। অর্থাৎ- বিদআত বর্জন করা। কেননা- বিদ’আতি পথ, পন্থা বা পদ্ধতিতে কৃত দু’আ কবুল করা হয় না। আল্লাহ তা’আলা মুমিনের সকল বৈধ দু’আ কবুল করে থাকেন এবং দু’আ কবুলের সময় সর্বদা উন্মুক্ত। তবে হাদীস /সুন্নাতে নববীতে কিছু কিছু বরকতময় সময় ও স্থানকে দু’আ কবুলের জন্য বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।