সফল চন্দ্রাভিযানের পর এবার মঙ্গল গ্রহে অনুসন্ধান মিশনে যাবে চীন। আর সেই মিশনে অংশ নিতে এয়ার-গ্রাউন্ড ডুয়েল পারপাজ ড্রোন তৈরি করেছেন চীনা গবেষকরা। যা মাটিতে চলতে পারবে, আবার উড়তেও পারবে। বেশ হালকা-পাতলা গড়নের ড্রোনটিতে যুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি।
ড্রোনটির ওজন মাত্র তিনশ গ্রাম। বলতে গেলে একটি বড়সড় আপেলের সমান। তাতেই বাজিমাত। ওজন কম হওয়ায় ডুয়েল পারপাজ ড্রোনটির ব্যাটারির চার্জও থাকছে অনেকক্ষণ।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এটি ওড়ার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেকোনো বাধা অতিক্রম করতে পারে।
মঙ্গল অনুসন্ধানের মতো বিশেষ অভিযানের জন্য এ ধরনের হালকা ও নমনীয় ড্রোনই মূলত কাজে আসবে।
হারবিন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির স্কুল অফ অ্যাস্ট্রোনটিকসের পিএইচডি গবেষক জু ইয়িমিন জানালেন, ‘মাটিতে এটি ভরকেন্দ্র পরিবর্তন করে গড়িয়ে চলতে পারে। আকাশে চলে রোটরের সাহায্যে। তখন আবার বিশেষ স্টিয়ারিং ইঞ্জিনের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায় ড্রোনটিকে। টর্ক ও শক্তি সামঞ্জস্য করার প্রযুক্তি আছে এতে। তাই ওড়ার সময় এর স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।’
গবেষকরা বিভিন্ন কনফিগারেশনের এই ডুয়েল-মোড ড্রোন তৈরি করেছেন, যেগুলো মাটিতে গড়িয়ে চলতে পারে এবং একই আকারের অন্যান্য ড্রোনের তুলনায় ছয় গুণ বেশি সময় আকাশে থাকতে পারে।
হারবিন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক চাং লিসিয়ান জানান, ‘চীন এ ধরনের ইউএভি-এর মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী মঙ্গল অনুসন্ধান চালাতে পারবে। দ্বিতীয়ত, এই প্রযুক্তি ভূগর্ভস্থ নির্মাণ ও অনাবিষ্কৃত স্থানে অনুসন্ধান চালাতেও কাজে আসবে। পরিবেশগত নিরীক্ষা ও পরিদর্শনের কাজেও এর প্রয়োগ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।’
এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হাতে আসার পর চীনের ভবিষ্যৎ মঙ্গল অভিযান নিয়ে আশাবাদি গোটা বিশ্ব। সেইসঙ্গে পৃথিবীতে কী করে এমন কম ওজনের বহুমাত্রিক ড্রোনের নানামুখী কাজ বের করা যায়, তা নিয়েও কিন্তু আছে চীনা গবেষকদের চিন্তা-ভাবনা।
সিএমজি বাংলা