Friday, June 13
Shadow

Tag: কলাম

ধনী দেশগুলো কি আসলেই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে চায়?

ধনী দেশগুলো কি আসলেই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে চায়?

কলাম
রাকিব হোসেন: বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে—বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ও লবণাক্ততা আমাদের মতো দেশের খাদ্যনিরাপত্তা ও জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলছে। কিন্তু কীভাবে আমরা এই সংকট মোকাবিলা করব? আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কি মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব? গবেষণা বলছে, মোটেও না। ১২৫টি দেশের ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষের ওপর করা একটি আন্তর্জাতিক জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মানুষ মনে করে আমাদের জীবনযাত্রা এবং সমাজের কাঠামো আমূল বদলানো ছাড়া জলবায়ু সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এমনকি তারা বলেছেন, প্রয়োজনে নিজের আয়ের অন্তত ১% জলবায়ু কার্যক্রমে দিতে তারা প্রস্তুত। অর্থাৎ, মানুষ ইতোমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন—তাদের আর নতুন করে বোঝাতে হবে না যে এটি একটি বড় সমস্যা। চ্যালেঞ্জটা এখন অন্যখানে: কীভাবে আমরা সেই বিদ্যমান সচেতনতা ও উদ্বেগকে কার্যকর ও সমষ্টিগত ...
কেন বাড়ছে এই জেনারেশন কনফ্লিক্ট

কেন বাড়ছে এই জেনারেশন কনফ্লিক্ট

কলাম
সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জেনারেশন কনফ্লিক্ট। একটা জেনারেশন আরেকটা জেনারেশনকে সহ্য করতে পারছে না। একটা জেনারেশন আরেকটা জেনারেশনকে বিভিন্ন কারণে দোষারোপ করছে, সৃষ্টি হচ্ছে জেনারেশন কনফ্লিক্ট বা বিভাজনের। একটা জেনারেশন বিচ্ছিন্ন হচ্ছে আরেকটা জেনারেশন থেকে। ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছে একটা প্রজন্ম আরেকটা প্রজন্ম থেকে। আমরা পৃথিবীর মানুষরা সময়ের স্রোতে ভেসে ভেসে এমন একটা সময়ের এসে পৌঁছেছি যখন একই সঙ্গে বিভিন্ন সময়ের মানুষ একত্রে বসবাস করছি। কারো প্রযুক্তি ছাড়া চলে না আবার অনেকের প্রযুক্তি সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। আমাদের আশেপাশে এখনো এমন অনেক মানুষ আছে যাদের প্রযুক্তি সম্পর্কে কোন প্রকার ধারণা নেই। তাদের বেশিরভাগই সারাদিনের কর্ম ক্লান্তি শেষে রাতে দুমুঠো খেয়ে সকালের অপেক্ষায় ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল হলে আবার তারা মাঠে গিয়ে ফসল ফলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আরেকটা শ্রেণি আছে যারা অর্ধেক আধুনিক প্রযুক্ত...
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত: বাংলাদেশের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ নাকি সম্ভাবনা?

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত: বাংলাদেশের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ নাকি সম্ভাবনা?

কলাম
২০২০ সালের ২৯ জুন ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (CBIC) বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য তৃতীয় দেশে পাঠানোর জন্য ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা কলকাতা সমুদ্রবন্দর, নবসেবা বন্দরের পাশাপাশি কলকাতা বিমান কার্গো কমপ্লেক্স ব্যবহার করে পণ্য গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারছিলেন। এতে পরিবহন খরচ হ্রাস, সময় সাশ্রয় এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বাজারে প্রবেশ সহজ হয়েছিল। কিন্তু এই সুবিধা প্রায় পাঁচ বছর পর, ২০২৫ সালের ৮ এপ্রিল ভারতের সরকার হঠাৎ করেই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার কারণে ভারতের নিজস্ব রপ্তানি কার্যক্রমে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি ...