
রোকুনুজ্জামান, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রফিক ভবনের ছাঁদ ও দেয়ালের আবরনের একাংশ খসে পড়ছে যত্রতত্র। কোথাও কোথাও ছাঁদের কার্নিশ ভেঙে ঝুলে পড়েছে। জরাজীর্ণ ভবনের বেহাল দশা দীর্ঘদিন ধরে। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন তারা।
বুধবার (২৩ জুলাই) রফিক ভবনের ছাঁদ খসে পড়েছে সিঁড়িতে। অল্পের জন্য গায়ে পড়েনি এক শিক্ষার্থীর।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন পরপরই এমন ঘটনা ঘটে থাকে। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে চারতলায়। শ্রেণি কক্ষের ফ্যানের সংকট সহ বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানান তারা৷
ছাঁদের আবরণ খসে পড়ার সময় প্রত্যক্ষদর্শী হারুনর রশীদ নয়ন বলেন, “আমরা ক্লাস শেষ করে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামিতেছিল। তিনতলায় মাঝের সিঁড়ি আসতেই উপর থেকে ছাঁদের আস্তর খসে পড়েছে। একটুর জন্য আমাদের শরীরে পড়েনি৷”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শফিক খান হাসিব বলেন, “আজকে সকালে আমরা যাচ্ছিলাম এমন সময় আকস্মিকভাবে দেয়ালের কিছু আবরণ আমাদের সামনে এসে পড়ে। এর আগেও এমন হয়েছে৷ দীর্ঘদিন ধরে ভবনের রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলা করা হচ্ছে। প্রশাসনের এই গাফিলতির কারনে আমরা কোনো দুর্ঘটনার স্বীকার হতে চাই না। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি৷”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে রফিক ভবনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিঁড়ি সহ রেলিঙের বেহাল দশা। ছাঁদের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল, খসে পড়েছে আবরণ। লক্ষ্য করা যায়, দেয়ালের কয়েক জায়গায় প্লাস্টারের স্তরও ভেঙে পড়েছে।
এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সেলিম মোজাহার বলেন, “আমাদের বিভাগের সংস্কারের জন্য আরও সাত আট মাস আগেই প্রকৌশল দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। আজকে আবার ছাঁদের আস্তর খসে পড়ায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন দিয়েছি৷ আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ওনারা ব্যবস্থা নিবেন৷”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, “আমি ঘটনা শোনার পরে গিয়েছিলাম দেখার জন্য। রফিক ও অবকাশ ভবন নিয়ে ফাইল রেডি করা আছে। দ্রুতই কাজ শুরু করা হবে।”