Friday, July 18
Shadow

ইয়ুননানে বুনো মাশরুমের মৌসুমে ভোজনরসিকদের ভিড়

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইয়ুননান প্রদেশের ছুসিয়োং ইয়ি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে বুনো মাশরুম সংগ্রহের মৌসুম শুরু হয়েছে। আর এ মাশরুমের স্বাদ নিতে এখানে ছুটে আসছেন দেশি-বিদেশি খাদ্যপ্রেমীরা।

ছুসিয়োং ইয়ির নানহুয়া কাউন্টিতে আছে ঘন বনাঞ্চল ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ। সেখানে পাওয়া যায় চীনের মোট ভোজ্য বুনো মাশরুম প্রজাতির ৩৫৪টি প্রজাতি। এই বনজ সম্পদই এখন নানহুয়ার অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ।

২০২৪ সালে শুধু মাশরুম খাত থেকেই নানহুয়া কাউন্টি অর্জন করেছে ৭৬০ কোটি ইউয়ান। মাশরুম সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন মিলিয়ে এখন এটি একটি পূর্ণাঙ্গ শিল্পখাত।

নানহুয়ার মাশরুম কারখানার প্রধানইয়ু চিয়ালিং জানালেন, ‘আমরা কৃষকদের কাছ থেকে মাশরুম কিনি। মৌসুমে বহু অস্থায়ী শ্রমিক নিই মাশরুম বাছাই ও প্রাথমিক প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য। প্রক্রিয়াজাতকরা মাশরুমে লাভ বেশি, কারণ এগুলোর স্বাদ বেশি জনপ্রিয়। গত বছর আমাদের বিক্রি ছিল ৭৮ মিলিয়ন ইউয়ান।’

মাশরুম মৌসুম উপলক্ষে প্রচুর দেশি-বিদেশি পর্যটক ইয়ুননানে ভিড় করছেন। ইয়ুননানের হটপটে টাটকা বুনো মাশরুমের সুবাস থেকে শুরু করে তেল-মশলায় ভাজা সুস্বাদু রান্না—সবই পর্যটকদের কাছে প্রিয়।

ইন্দোনেশিয়ার পর্যটকভালেরিয়া বললেন, ‘প্রথমে মনে হয়েছিল স্বাদটা অদ্ভুত হবে। কিন্তু খাওয়ার পর বুঝলাম, এটা আসলে খুবই সুস্বাদু।’

রুশ পর্যটক আরটেমের মতে, ‘আমার পরামর্শ—এসে একবার খেয়ে দেখুন। খুব ভালো স্বাদ, আর দারুণ পরিবেশ।’

স্থানীয় রেস্তোরাঁ মালিকদের মতে, এখন অনেক বিদেশি পর্যটক ইয়ুননানে নেমেই মাশরুম খাওয়ার জন্য ছুটে যান। বিশেষ করে থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটকদের প্রথম কাজই হলোএ মাশরুমের স্বাদ নেওয়া।

ইয়ুননানেরস্থানীয় মাশরুম রেস্তোরাঁ মালিকওয়াং ওয়েনইয়ান জানান, ‘পর্যটকরা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি আমাদের রেস্তোরাঁয় আসে। সঙ্গে সাত-আটটা করে স্যুটকেস থাকে। পুরো দরজার সামনের অংশটা ভরে যায়।’

বুনো মাশরুমের এই জনপ্রিয়তা ইয়ুননানের মাশরুমকেন্দ্রিক রন্ধনশিল্পকে নিয়ে গেছে বিশ্ব দরবারে। এতে রপ্তানির সুযোগ যেমন বাড়ছে, তেমনি গ্রামীণ অর্থনীতিতেও তৈরি হচ্ছে নতুন আয়ের উৎস।

সূত্র: সিএমজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *