
গোধুলি ক্ষনের কাব্য
গোধুলি মেখেছে সোনালী ধুলো
রূপে যেনো নেই কমতি তাহার,
কখন মেলেছে রুপালি ডানা
দ্যুতি ভরা তার দিপ্ত বাহার।
গোধুলি যেনো আজ চিত্তাকর্ষক
ধুলো মাখা তার রুপের গড়ন,
ধু ধু ফসলের মাঠটি পেরিয়ে
অপারে যে হয় সূর্য হরন।
গোধুলি পড়েছে রঙিন শাড়ি
পুরোটা জুড়ে যে নকশা কঠিন
ধুলিকনা মাখা তাহার আঁচল
হলুদাভ তার শাড়ির জমিন।
গোধুলি নেমেছে পথে প্রান্তের
আকাশে পড়েছে মেঘে মেঘে ভাজ
মেঘফুল তবু ফুটে ফুটে মেঘে
মোহনীয় রূপ ছড়ায়ে যে আজ।
জীবনের কলতান
পবনে লেগছে দোলা
বাতাস ছুটছে নীলে
আঁখি খুলে বসে আছি
জীবনকে ছেড়ে দিয়ে।
জীবনকে ছেড়ে দিয়ে চেয়ে থাকি আমি ঐ
ঘাসে ঢাকা ভূমিটাতে
কচুবন মাথা নাড়ে
জীবনের মতো করে।
আকাশে পাখিরা ওরে
নীলের মধ্যে নীল
নদীগুলো বেঁকে চলে
জীবনের মতো করে।
জীবনের মতো ধেয়ে,চলে তারা সাগরে
পথঘাট পাড়ি দিয়ে
জীবনেকে বাজি রেখে।
সাদা খামে উড়ো চিঠি
তোমার নামেতে গান
বেজে ওঠে অন্তরে
জীবনের মাঝে থেকে।
জীবনের মাঝে থেকে রঙধনু চলে যায়
গগনে উঠে যে তারা
নীলের মিশেলে ভেসে
জীবনকে ফেলে রেখে।
বকুল ঘ্রাণেতে প্রেম
ছড়ায় সে জীবনেই
শিউলিরা মেলে ডানা
জীবনকে মনে রেখে।
জীবনকে মনে রেখে বনেতে বাহারী ফুল
ফুটে উঠে আনমনে
জীবন যেভাবে ফুটে।
শরীরে বৃষ্টি মেখে আমি সেথা লিখি ঐ
মাটিতে কবিতা যেন
জীবনের মতো করে,জীবনকে তুলে ধরে।
স্পৃহামুক্তি ও মনুষ্যত্ব
নীরবে কাঁদে, কখনও হাসে
কন্ঠে তাদের মাধুরি ভাসে।
বিষন্নতায় কখনও মরে
কখনও তারা প্রণয় ধরে।
আকাশ পানে তাকিয়ে ভাবে
কখন সাফল্য চূড়াতে যাবে।
যত সে পায়,আরও সে চায়
এমনি করেই লোভেতে হারায়
পরের শোকে খুব মজা পায়
আবার অনেক নীতিকথা গায়।
পাওয়ার নেশায় বিভোর থাকে
রাখেনা ভরসা তার বিধাতাকে।
আরও আরও আরও যে চাই,
চাওয়ার কোন ঠিকানা যে নাই।
বলছি আমি,মানুষের কথা
মনুষ্য জ্ঞান তার মাটিতে গাথা।
অনেকের আছে জ্ঞানের পাহাড়
বচনে নেই তার সেই সমাচার
প্রকৃত জ্ঞানী নিজেকে বোঝে
তাই, সবার মাঝেই নিজেকে খোজে
নিজেকে বুঝলে,যায় অপর বোঝা
তবেই জীবন সরল-সোজা।
এই আশাই আমি ব্যাক্ত করি
সবার এই পথ আমি যেন না ধরি।
ক্ষনিক জীবন আজ আছে তো নেই
সে বানী বুঝেই স্পৃহা দেই ছেড়ে দেই।