Sunday, July 27
Shadow

Tag: মনের বাঁকে

প্রয়াণ দিবসে মহাকবির পূণ্য স্মৃতিতে

প্রয়াণ দিবসে মহাকবির পূণ্য স্মৃতিতে

ফিচার, মনের বাঁকে, সাহিত্য
বৃষ্টি মাথায় দৌড়ে একপুরাতন ভবনের পোস্ট অফিসে  যখন আশ্রয় নিলাম ওখানে তখন একজন কর্মচারী কাজ করছেন। সবেমাত্র এসেছি এ এলাকায়। তবে ভিতরে গিয়ে চেয়ারটা দেখেই কেন যেন মনে হল এটি গুনী মানুষের  স্পর্শে গুনান্বিত একটি  ঐতিহাসিক স্মৃতি  স্মারক । আগলা পোস্ট অফিস ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জে। এখানেই  তো  জন্মে ছিলেন  মহাকবি  কায়কোবাদ । মোহাম্মদ কাজেম আল-কোরশী  ছিল  আসল নাম।  বাংলা সাহিত্য জগতে    ধ্রুব উজ্জ্বলতা  ছড়ানো  নক্ষত্র  মহাকবি  কায়কোবাদ।তিনি  তো কর্মজীবন কাটিয়েছন এ চেয়ারে বসে। এই পোস্ট  অফিসে ।  ছুয়ে দেখি মহাকবি-র  পূণ্য  বিজারিত  স্মৃতি  চিহ্ন ।  সুদীর্ঘ কাল নবাবগঞ্জ কর্মজীবনে আমার  পরম সৌভাগ্য হয়েছে কবির জন্ম ভিটায় সুনিমর্ল বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে  নেওয়ার...
একটি ভ্যানের আকুতি : একমাত্র সম্বল হারিয়ে আতিয়ারের মানবেতর জীবনযাপন 

একটি ভ্যানের আকুতি : একমাত্র সম্বল হারিয়ে আতিয়ারের মানবেতর জীবনযাপন 

ফিচার, মনের বাঁকে
পাইকগাছা প্রতিনিধি : যেটাকে অবলম্বন করে বেঁচে থাকা। পরিবারের মুখে দু'বেলা অন্ন যোগায়। একচিলতে হাসি মেলে। সেই  একমাত্র অবলম্বন ইঞ্জিন চালিত ভ্যান হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন অসহায় হতদরিদ্র ভ্যান চালক আতিয়ার (৪২)। সে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের সিলেমানপুর গ্রামের দিরাজ সরদারের ছেলে। স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে সংসারে ভ্যান চালিয়ে যা আয় হতো কোনরকম জীবিকা নির্বাহ করতো। বছরে ঈদের সময় ১০ কেজি চাল ব্যতীত পায় না কোন সরকারি অনুদান। তারপরও দু’বেলা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটলেও সুখেই ছিল আতিয়ারের পরিবার। সম্প্রতি আয়ের একমাত্র সম্বল ভ্যানটি হারিয়ে বর্তমানে সে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। সরজমিনে দেখা গেছে, দো-চালা টালির ছাউনী মাটির দেয়ালের উপর দণ্ডায়মান আতিয়ারের ঘর। দেয়ালের মাটি কোথাও কোথাও ধ্বসে খসে পড়ছে ‌। ঘড়ের ভিতরের অবস্থা এতটাই করুণ বৃষ্টি এলেই পরিবা...
অন্যের জীবন আলোকিত করে নিজেই এখন অন্ধকারে

অন্যের জীবন আলোকিত করে নিজেই এখন অন্ধকারে

ফিচার, মনের বাঁকে, সাহিত্য
মোঃ ফরমান উল্লাহ : হারিকেন ছিল এক সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ লাইট। হারিকেন ছাড়া শিক্ষার্থীরা ছিল অসহায়। সন্ধ্যা হওয়ার আগেই প্রথম কাজ ছিল রাতে পড়ার টেবিলের জন্য হারিকেন পরিষ্কার করা। এটা ছিল শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের কাজ। হারিকেন ছাড়া পড়ার টেবিল আলোকিত করার অন্য কোন মাধ্যম তেমন ছিল না। যারা নিম্নবিত্ত পরিবারে ছিল তারা হারিকেনের পরিবর্তে কুপি বাতি ব্যবহার করতো। নব্বই দশকের দিকেও হারিকেনের প্রচলন ছিল। তখনও বিদ্যুতের ছোঁয়া পায়নি অনেকে। যারা শহরে বাস করতো তাদের ঘরে হয়তোবা বিদ্যুতের আলো জ্বলত। তারা লোডশেডিং এর ভয়ে প্রত্যাকের ঘরে বিকল্প হিসাবে হারিকেন সংরক্ষনে রাখত। এই হারিকেনের আলোয় আলোকিত হয়েছে কোটি শিক্ষার্থীর জীবন। বর্তমানে বিদ্যুতের সংস্পর্শে হারিকেনের ব্যবহার নাই বললেই চলে। যে হারিকেন অন্যের জীবন আলোকিত করেছে সে-ই এখন অন্ধকারে পতিত হয়েছে। বর্তমান যুগে অনেকেই হারিকেন চিনবে না ...
বিকেলের আকাশ, এখন শুধুই স্মৃতি?”

বিকেলের আকাশ, এখন শুধুই স্মৃতি?”

মনের বাঁকে, সাহিত্য
ফিয়াদ নওশাদ ইয়ামিন, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি : এক সময় বিকেল মানেই ছিল মাঠে ছুটে যাওয়া। পাড়া-মহল্লার মাঠগুলো কিশোরদের প্রাণের জায়গা। এখন সেই মাঠগুলো হারিয়ে গেছে বহুতল ভবনের নিচে, কোথাও মার্কেট, কোথাও পার্কিং। তারপর প্রশ্ন তোলা হয়—“তরুণরা এত মোবাইলমুখী কেন?” একটা জেনারেশনকে বোঝানো হয়েছিল, বিকেলে মাঠে খেলতে যাওয়ার চেয়ে টিউটরের কাছে বসা বেশি জরুরি। তারা মাঠ ছেড়ে পড়ার টেবিলে গেল। আর মুরুব্বিরা দেখলেন, মাঠ ফাঁকা ফেলে না রেখে সেখানে ইমারত তুললে সেটা বেশি ‘প্র্যাকটিকাল’। ধীরে ধীরে বেঁচে থাকার সব সুস্থ আনন্দের পথ বন্ধ হতে থাকল। তরুণরা সেটা রিপ্লেস করল মোবাইল, গেম, রিলেশনশিপ, আর কখনও কখনও গ্যাং দিয়ে। তারপর প্রশ্ন তোলা হয়—“তরুণরা এত মোবাইলমুখী কেন?” আসলে প্রশ্নটা উল্টো হওয়া উচিত—তাদের আসল বিকল্পটুকু কেড়ে নিল কে? খেলাধুলাকে যখন ‘সময় নষ্ট’ বলা হ...