Saturday, July 5
Shadow

মনের বাঁকে

একটি ভ্যানের আকুতি : একমাত্র সম্বল হারিয়ে আতিয়ারের মানবেতর জীবনযাপন 

একটি ভ্যানের আকুতি : একমাত্র সম্বল হারিয়ে আতিয়ারের মানবেতর জীবনযাপন 

ফিচার, মনের বাঁকে
পাইকগাছা প্রতিনিধি : যেটাকে অবলম্বন করে বেঁচে থাকা। পরিবারের মুখে দু'বেলা অন্ন যোগায়। একচিলতে হাসি মেলে। সেই  একমাত্র অবলম্বন ইঞ্জিন চালিত ভ্যান হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন অসহায় হতদরিদ্র ভ্যান চালক আতিয়ার (৪২)। সে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের সিলেমানপুর গ্রামের দিরাজ সরদারের ছেলে। স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে সংসারে ভ্যান চালিয়ে যা আয় হতো কোনরকম জীবিকা নির্বাহ করতো। বছরে ঈদের সময় ১০ কেজি চাল ব্যতীত পায় না কোন সরকারি অনুদান। তারপরও দু’বেলা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটলেও সুখেই ছিল আতিয়ারের পরিবার। সম্প্রতি আয়ের একমাত্র সম্বল ভ্যানটি হারিয়ে বর্তমানে সে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। সরজমিনে দেখা গেছে, দো-চালা টালির ছাউনী মাটির দেয়ালের উপর দণ্ডায়মান আতিয়ারের ঘর। দেয়ালের মাটি কোথাও কোথাও ধ্বসে খসে পড়ছে ‌। ঘড়ের ভিতরের অবস্থা এতটাই করুণ বৃষ্টি এলেই পরিবা...
নেতৃত্ব, শিক্ষা ও খেলাধুলায় সেরা—নোবিপ্রবির সারোয়ার

নেতৃত্ব, শিক্ষা ও খেলাধুলায় সেরা—নোবিপ্রবির সারোয়ার

ফিচার, বিনোদন, মনের বাঁকে, সাহিত্য
শিক্ষা জীবনে সাফল্য শুধু পরীক্ষার ফলাফলে নয়—তা প্রতিফলিত হয় নেতৃত্ব, সহশিক্ষা কার্যক্রম, গবেষণা এবং আত্মোন্নয়নের ধারাবাহিক চেষ্টায়। শিক্ষা, গবেষণা, নেতৃত্ব ও খেলাধুলা—এই চারটি ক্ষেত্রেই নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো: সারোয়ার হোসেন। মেধা, পরিশ্রম ও একাগ্রতার মাধ্যমে তিনি বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। সারোয়ার হোসেন কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক (এসএসসি) এবং সোনার বাংলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে তিনি নোবিপ্রবির এমআইএস বিভাগে ভর্তি হন এবং সেখানেই শুরু হয় তার অসাধারণ একাডেমিক যাত্রা। সারোয়ার হোসেননের স্নাতক পর্যায়ে প্রতিটি সেমিস্টারের ফলাফল ছিল...
কর্মসংস্থান সৃষ্টির কারিগর রায়হান মাহমুদ

কর্মসংস্থান সৃষ্টির কারিগর রায়হান মাহমুদ

ফিচার, মনের বাঁকে
রায়হান মাহমুদ একজন আইটি উদ্যোক্তা। গড়ে তুলেছেন একাধিক আইটি কোম্পানি,স্টার্টআপ। সেখানে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ফ্রিল্যান্সিং দিযে তার যাত্রা শুরু হলেও এখন তিনি কর্মসংস্থান সৃষ্টির একজন কারিগর। লিখেছেন মুহাম্মদ শফিকুর রহমান। বাবা-মা, স্ত্রী, একটি সন্তান, ১ ভাই ও ১ বোন নিয়ে রায়হানের পরিবার। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স (পলিটিক্যাল সায়েন্স) করেছেন। এরপর ওয়ারটন স্কুল অফ ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে অন্টারপ্রিনারশীপ এ ডিপ্লোমা, ইউনিভার্সিটি অব মালয়া থেকে ক্যালিগ্রাফিতে ডিপ্লোমা, আইডিবি থেকে ফুল স্কলারশীপে মোশন গ্রাফিক্স এন্ড এনিমেশন এ হায়ার ডিপ্লোমা করেন। পরিবার নিয়ে ঢাকার উত্তরাতে থাকেন। শুরু যেভাবে পড়াশোনা করার সময় রায়হান শুধু বইয়ের পাতায় বুদ হয়ে থাকতেন না। তার কাছে যে কোন স্কিল ডেভলপমেন্...
ছবি: এক টুকরো গোলাপি প্যারিস

ছবি: এক টুকরো গোলাপি প্যারিস

ফিচার, মনের বাঁকে, সাহিত্য
‘ন্যাশনাল গার্লস মাদরাসা’ ফেনী এর ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী তাসনিম বিনতে জামালের তুলিতে ফুটে উঠেছে প্যারিস শহরের রোমান্টিক এক প্রান্ত। গোলাপি রাস্তা, টেবিল-চেয়ার ঘেরা ছোট ক্যাফে, দূরে দাঁড়িয়ে থাকা আইফেল টাওয়ার—সব মিলিয়ে যেন স্বপ্নের মতো এক বিকেল। মনের কল্পনাকে ক্যানভাসে জীবন্ত করে তোলার এই চেষ্টাটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।...
বন্ধু যখন বনের অতিথি: জীবনের এক অন্যরকম দেখা

বন্ধু যখন বনের অতিথি: জীবনের এক অন্যরকম দেখা

ফিচার, মনের বাঁকে
মো. আশিকুজ্জামান, বাকৃবি- আগের দিন রাতে মেসেঞ্জার গ্রুপে সি আরের মেজেজ- আজিমুন নাহার ম্যামের কড়া নির্দেশ সবাইকে সকাল ৬টায় ক্যাম্পাসের হ্যালিপ্যাডে উপস্থিত থাকতে হবে, দেরি করা যাবে না। দেরি করলে যে আর ট্যুরে যাওয়া হবে না। মোটামুটি একটি নির্ঘুম রাত কাটানোর পরেও ৩ মিনিট লেট করে ফেললাম! ভাগ্য ভালো বাস ৬টার সময় ক্যাম্পাস ছেড়ে যায় নি। বাস ছাড়তে ছাড়তে বেজে যায় সাড়ে ৬টা।  জীবনের সব দিন আসলে একরকম হয় না। কিছু দিন হৃদয়ের পাতায় স্থায়ীভাবে গেঁথে থাকে। পড়ালেখা, ক্লাস, ল্যাব, টিউটোরিয়াল আর পরীক্ষার চাপে যখন নিশ্বাস নেওয়ারও ফুরসত নেই, তখন হঠাৎ পাওয়া এক বিকেল হয়ে ওঠে জীবনের রঙিন পরশ। বলছি ২৪ মে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন বিভাগের শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় ভ্রমণের কথা। সে সফর শুধু শিক্ষামূলক ছিল না, ছিল ভালোবাসা...
অন্যের জীবন আলোকিত করে নিজেই এখন অন্ধকারে

অন্যের জীবন আলোকিত করে নিজেই এখন অন্ধকারে

ফিচার, মনের বাঁকে, সাহিত্য
মোঃ ফরমান উল্লাহ : হারিকেন ছিল এক সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ লাইট। হারিকেন ছাড়া শিক্ষার্থীরা ছিল অসহায়। সন্ধ্যা হওয়ার আগেই প্রথম কাজ ছিল রাতে পড়ার টেবিলের জন্য হারিকেন পরিষ্কার করা। এটা ছিল শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের কাজ। হারিকেন ছাড়া পড়ার টেবিল আলোকিত করার অন্য কোন মাধ্যম তেমন ছিল না। যারা নিম্নবিত্ত পরিবারে ছিল তারা হারিকেনের পরিবর্তে কুপি বাতি ব্যবহার করতো। নব্বই দশকের দিকেও হারিকেনের প্রচলন ছিল। তখনও বিদ্যুতের ছোঁয়া পায়নি অনেকে। যারা শহরে বাস করতো তাদের ঘরে হয়তোবা বিদ্যুতের আলো জ্বলত। তারা লোডশেডিং এর ভয়ে প্রত্যাকের ঘরে বিকল্প হিসাবে হারিকেন সংরক্ষনে রাখত। এই হারিকেনের আলোয় আলোকিত হয়েছে কোটি শিক্ষার্থীর জীবন। বর্তমানে বিদ্যুতের সংস্পর্শে হারিকেনের ব্যবহার নাই বললেই চলে। যে হারিকেন অন্যের জীবন আলোকিত করেছে সে-ই এখন অন্ধকারে পতিত হয়েছে। বর্তমান যুগে অনেকেই হারিকেন চিনবে না ...
বিকেলের আকাশ, এখন শুধুই স্মৃতি?”

বিকেলের আকাশ, এখন শুধুই স্মৃতি?”

মনের বাঁকে, সাহিত্য
ফিয়াদ নওশাদ ইয়ামিন, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি : এক সময় বিকেল মানেই ছিল মাঠে ছুটে যাওয়া। পাড়া-মহল্লার মাঠগুলো কিশোরদের প্রাণের জায়গা। এখন সেই মাঠগুলো হারিয়ে গেছে বহুতল ভবনের নিচে, কোথাও মার্কেট, কোথাও পার্কিং। তারপর প্রশ্ন তোলা হয়—“তরুণরা এত মোবাইলমুখী কেন?” একটা জেনারেশনকে বোঝানো হয়েছিল, বিকেলে মাঠে খেলতে যাওয়ার চেয়ে টিউটরের কাছে বসা বেশি জরুরি। তারা মাঠ ছেড়ে পড়ার টেবিলে গেল। আর মুরুব্বিরা দেখলেন, মাঠ ফাঁকা ফেলে না রেখে সেখানে ইমারত তুললে সেটা বেশি ‘প্র্যাকটিকাল’। ধীরে ধীরে বেঁচে থাকার সব সুস্থ আনন্দের পথ বন্ধ হতে থাকল। তরুণরা সেটা রিপ্লেস করল মোবাইল, গেম, রিলেশনশিপ, আর কখনও কখনও গ্যাং দিয়ে। তারপর প্রশ্ন তোলা হয়—“তরুণরা এত মোবাইলমুখী কেন?” আসলে প্রশ্নটা উল্টো হওয়া উচিত—তাদের আসল বিকল্পটুকু কেড়ে নিল কে? খেলাধুলাকে যখন ‘সময় নষ্ট’ বলা হ...