
মোয়াজ্জেম হোসেন হিলারী, বকশীগঞ্জ : জামালপুরের বকশীগঞ্জে হারানো ১৫ মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ।
বকশীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি ও অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব মোবাইল ফোন উদ্ধার করে এবং উদ্ধার করা ১৫ টি মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকদের কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করা হয়।
২৯ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুরে বকশীগঞ্জ থানা, জামালপুর কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ফোনগুলো প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
টিম বকশীগঞ্জ থানা কর্তৃক উদ্ধারকৃত চোরাই/হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দেওয়ানগঞ্জ সার্কেল) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, চুরি যাওয়া বা হারানো মোবাইল অন্যত্র ব্যবহার হলেই আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে সে মোবাইলটাকে উদ্ধার করতে পারি আর যদি ব্যবহার করা না হয় সেক্ষেত্রে আমরা সেটা উদ্ধার করতে পারিনা। অনেক সময় দেখা যায় কিছু দামি ফোনে হাই সিকিউরিটি দেওয়া থাকে সে ক্ষেত্রে ফোনগুলো অন্যত্র ব্যবহার করতে পারে না সে ফোনগুলোর যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে দেয়। সে ক্ষেত্রে সেই ফোনটা উদ্ধার করার সম্ভাবনা শূন্যের কাছাকাছি আর ফোন যদি ব্যবহার করা হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা সেটা খুঁজে পাবো। অনেক সময় ফোন গুলো শহরাঞ্চলে চলে যায় তখন ফোনগুলোর আইএমই পরিবর্তন করে ফেলে। ফোন খুঁজে পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে আইএমই নাম্বার। মোবাইল ফোনের আইএমই নাম্বারটা যদি ইনটেক থাকে সে ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই অবশ্যই সে ফোন খুজে পাব। তিনি আরও বলেন আমাদের এসপি মহোদয় হারানো ফোনগুলো খুঁজে বের করার বিষয়ে আন্তরিক। উৎসাহ দিতে তিনি আমাদের জন্য একটা সম্মানীর ব্যবস্থা রেখেছেন আর এ ফোনগুলো যারা চুরি করে তাদের একটা সিন্ডিকেট রয়েছে তিনি চুরি যাওয়া ফোন উদ্ধারে জনসাধারণকে থানায় মামলা করারও পরামর্শ দেন।
মোবাইল ফোন ফিরে পাওয়া অনেকেই পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ফেরত পাওয়া ফোন মালিকগণ বলেন আমরা ভাবতেই পারিনি মোবাইল ফোন ফিরে পাব। পুলিশের এমন উদ্যোগ আমাদের আস্থা আরও বাড়িয়েছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শাকের আহমেদ ও ফোন উদ্ধার কাজে সহায়তাকারী এএসআই মুস্তাক আহমেদ।