Friday, June 20
Shadow

কেন্দুয়ায় অনলাইন ডলার নিয়ে প্রতারণা, দুই ভাই গ্রেফতার 

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:  নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় অনলাইনে ডলার বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুই ভাইকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার মামলা রুজু হয়েছে। 

তারা দীর্ঘদিন ধরে ‘ট্রেজার NFT’ নামে একটি অনলাইন ভিত্তিক স্কিম চালু করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছে। তাদের প্রতারণার জাল কতদূর বিস্তৃত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এরআগে এ ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলা ও নেত্রকোনা জেলা এনএসআই এর গোয়েন্দা তথ্যের আলোকে গত সোমবার  রাত ৯টার দিকে আশুজিয়া ইউনিয়নের চান্দপাড়া গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়।

আটককৃতরা হলেন- মৃত আব্দুল জাহেদের দুই ছেলে আরিফুল হক (৪৩) ও শরিফুল হক (৩২)। তাদের বিরুদ্ধে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বড় পরিসরে অর্থ আত্মসাৎের অভিযোগ রয়েছে। অভিযানে তাদের মোবাইল ফোনসহ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়েছে। তবে প্রধান অভিযুক্ত মঞ্জুরুল হকের ছেলে মাসুদুল হাসান সৈকত (৩০) পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানায় ভবানীপুর গ্রামের মো. নাহিদুল ইসলাম (২০) নামের এক যুবক বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ, ট্রেজার NFT প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন ১.৮% হারে লভ্যাংশ ও রেফারেন্স ইনকামের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে মোট ৮৪,৫০০ টাকা বিনিয়োগে বাধ্য করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোনো লাভ বা মূলধন ফেরত না পেয়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।

এছাড়া অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা Binance, Bybit, Bitget, Trust Wallet, MetaMask-এর মতো আন্তর্জাতিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেন্দুয়ার আশুজিয়া ও দলপা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় দুই-তিন হাজার মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছে।এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, আসামি দুইজনকে দুপুরের দিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।  প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্য ও গোপন নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *