Saturday, June 7
Shadow

নতুন নামে আবারও যাত্রা শুরু করবে ক্রিকেটে বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ

আইপিএল শুরু হওয়ার মাত্র দুই বছরের মাথায় ক্রিকেট বিশ্ব পেয়েছিল ক্লাব পর্যায়ের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টচ্যাম্পিয়ন্স লিগ টিটোয়েন্টি। টুর্নামেন্টটি ছয় বছর চালু ছিল, তবে ২০১৪ সালে শেষ আসর হওয়ার পর এটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে ক্লাবভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্ট আর দেখা যায়নি ক্রিকেটে

তবে এবার সে আক্ষেপ ঘোচার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আবারও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের ভাবনা শুরু করেছে। ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড জানিয়েছেন, ‘নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতে এমন একটি বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ হবে—পুরুষ ও নারী, উভয়ের জন্যই। এটা ক্রিকেটের জন্য একটি স্বাভাবিক ও পরবর্তী ধাপ।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, এই টুর্নামেন্ট এখনো পরিকল্পনার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে ইসিবির আগ্রহ এবং বক্তব্য দেখে ধারণা করা যাচ্ছে, তারা এটিকে বাস্তবায়নের পথে এগোতে চায়। গোল্ড বলেন, ‘এটি এখনো পরিকল্পনার মধ্যে আছে। তবে এটি হতে পারে পরবর্তী বড় ঘটনা।’

উল্লেখ্য, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড যৌথভাবে এই টুর্নামেন্ট চালু করেছিল। তবে বেশি দর্শক না পাওয়া এবং আর্থিকভাবে তেমন সফল না হওয়ায় ছয় বছর পর এটি বন্ধ হয়ে যায়।

তখন রিচার্ড গোল্ড ছিলেন ইংল্যান্ডের সমারসেট কাউন্টি ক্লাবের প্রধান নির্বাহী। তাঁর ক্লাবই ২০০৯ সালের প্রথম আসরে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন ডেকান চার্জার্সকে হারিয়ে বড় চমক দেখিয়েছিল। সেই স্মৃতি মনে করে গোল্ড বলেন, ‘সেই টুর্নামেন্ট সময়ের আগেই এসেছিল। বাণিজ্যিকভাবে টিকতে পারেনি, তবে এটি ছিল দারুণ একটি আয়োজন।’

বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টি-টোয়েন্টি ও সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের একাধিক লিগ চালু হয়েছে। যেমন—ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ২০, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএলটি২০, এবং যুক্তরাষ্ট্রের এমএলসি। শুধু ক্রিকেট নয়, অন্যান্য খেলাতেও ক্লাব পর্যায়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। এই মাসেই শুরু হচ্ছে ফুটবলের ৩২ দলের নতুন ক্লাব বিশ্বকাপ। রাগবি ইউনিয়নের ক্লাব বিশ্বকাপও চালু হবে ২০২৮ সালে।

তবে এমন একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে গেলে সময় নিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ, বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটের সূচি এতটাই ব্যস্ত যে এর মধ্যে একটি উপযুক্ত সময় বের করা সহজ কাজ নয়। আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো—ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। বর্তমানে আইপিএলের ১০টি দলের মধ্যে ৮টি দল এবং নারী আইপিএলের ৫টির মধ্যে ৪টি দল ভারতের বাইরে বিভিন্ন লিগ পরিচালনা করে। তাই এই উদ্যোগ সফল করতে হলে ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সম্মতি ও সম্পৃক্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *