Friday, June 6
Shadow

সৌদি আরবে হজের আনুষ্ঠানিকতার শেষ ধাপ ঈদুল আজহা উদযাপিত

লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণ, কোরবানি ও পারিবারিক আনন্দে মুখর দিন

সৌদি আরবজুড়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এটি ‘কুরবানির ঈদ’ নামেও পরিচিত, যা হজের শেষ দিনে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগের স্মরণে পালন করা হয়।

ঈদের আগের দিন আরাফাতের ময়দানে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর পরদিন সকালে সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মক্কা, মদিনা, রিয়াদ, জেদ্দা ও অন্যান্য বড় শহরের প্রধান ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে লাখো মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশ নেন।
ঈদের খুতবায় শান্তি, সহমর্মিতা, আত্মত্যাগ এবং মানবকল্যাণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। নামাজ শেষে মিনা প্রান্তরে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কোরবানির মাংস ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী আত্মীয়স্বজন, দরিদ্র ও প্রতিবেশীদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়।

ঈদ উপলক্ষে সৌদি আরবের ঘরে ঘরে তৈরি হয় ঐতিহ্যবাহী আরবি খাবার—কাবসা, ম্যান্ডি, সাম্বুসা, নানা রকম খেজুর ও মিষ্টান্ন। পরিবার-পরিজন মিলে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করা, ঘরে ঘরে গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা এবং প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোই হয়ে ওঠে উৎসবের মূল আনন্দ।

এই দিনটিকে কেন্দ্র করে সৌদি সরকার কয়েকদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করে, যাতে দেশি-বিদেশি মুসলমানরা পরিবার নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারেন। নিরাপত্তা, যানচলাচল এবং জনসাধারণের সুবিধার্থে নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা।

এবারের হজে প্রায় ১৪ লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন, যাদের মধ্যে বড় একটি অংশ এসেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ফলে ঈদুল আজহা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, সৌদি আরবে এটি হয়ে ওঠে এক অনন্য ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মিলনমেলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *