চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ঠিক আগের দিন। ইউরোপজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। এমন মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে নিজের দলের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করলেন ইন্টার মিলান কোচ সিমোনে ইনজাগি।
ইতালিয়ান এই কোচ জানালেন, শিরোপার লড়াইয়ে জয় পেতে হলে মাঠে নিজেদের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দিতে হবে। একই সঙ্গে তিনি প্রশংসা করলেন প্রতিপক্ষ প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) এবং তাদের কোচ লুইস এনরিকের।
সংবাদ সম্মেলনে ইনজাগি বলেন,
“জিততে হলে আমাদের সবকিছু ঢেলে দিতে হবে। ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মুখোমুখি হতে যাচ্ছি এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষের, যাদের কোচ লুইস এনরিক—যিনি tactically খুবই দক্ষ এবং যাকে আমি গভীর শ্রদ্ধা করি।”
সিরি আ-তে এবার শিরোপা হাতছাড়া করেছে ইন্টার মিলান। তবে ইউরোপিয়ান মঞ্চে নিজেদের নতুন করে প্রমাণ করতে প্রস্তুত তারা। ইনজাগি বলেন,
“সিরি আ’র হতাশা আমরা পেছনে ফেলেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য একটাই—চ্যাম্পিয়নস লিগ। দল অনেক বেশি মনোযোগী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আগ্রহ আছে, তবে তা আবেগে ভেসে যায়নি—এটাই সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক।”
ইস্তাম্বুলের সেই ফাইনাল এখনও মনে পড়ে
দুই বছর আগে ইস্তাম্বুলে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল ইন্টার মিলান। সেই স্মৃতি এখনও জীবন্ত ইনজাগির মনে।
তিনি বলেন, “তখন আমরা ফেভারিট ছিলাম না, তবু ভালো খেলেছিলাম। এবারের প্রস্তুতি কিছুটা আলাদা। প্রতিটি ফাইনালই আলাদা গল্প বলে।”
বল দখল হবে বড় ফ্যাক্টর
পিএসজির মতো দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হলে ছোটখাটো ভুলও হতে পারে বিপজ্জনক—এই বিষয়টি মাথায় রেখেই দলকে তৈরি করছেন ইনজাগি।
তিনি বলেন,
“ফাইনালে বল দখল এবং গতি নিয়ন্ত্রণই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পিএসজি ইউরোপে বল দখলে শীর্ষে, আমরাও ইতালিতে এই দিক থেকে সেরা। দুই দলই বল নিয়ে খেলতে পছন্দ করে। তাই কে বেশি সময় বলের দখলে রাখতে পারবে এবং প্রতিপক্ষকে স্পেস দিতে কম করবে—সেটাই নির্ধারণ করবে ম্যাচের ভাগ্য।”
তিনি আরও সতর্ক করেন,
“পিএসজির মতো প্রতিপক্ষ আপনার ছোট ভুলও ক্ষমা করবে না।”
নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ইনজাগি
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালকে সামনে রেখে নিজের কোচিং ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই কিছু বলতে চান না ইনজাগি।
তিনি বলেন,
“এটা এখন ভাবার বিষয় নয়। আমি শুধু ফাইনাল নিয়েই ভাবছি। বোর্ডের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। আলোচনা হবে মঙ্গলবার।”