Friday, May 9
Shadow

আ. লীগ নিষিদ্ধকরণ এবং আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে আসিফ নজরুলের বক্তব্য

খুনের মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে আসিফ নজরুল লেখেন, “আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে। আমি আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই, খুনের মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনে বাধা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও গোয়েন্দা এজেন্সিগুলোর, যা কোনোভাবেই আমার আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আদালতের বিচারকদের দায়িত্ব বিমানবন্দর পাহারা দেওয়া বা কারো চলাচলে বাধা দেওয়া নয়।”

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আইসিটি আইনে সংগঠন নিষিদ্ধ করার বিধান আইন মন্ত্রণালয়ের খসড়ায় ছিল। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমি নিজে এটি উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেছি। আমার উত্থাপিত খসড়ার আমি নিজে বিরোধিতা করবো—এটা কীভাবে সম্ভব?”

তিনি উল্লেখ করেন, “উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কোন উপদেষ্টা কী ভূমিকা রেখেছেন, তা নিয়ে আমাকে, ছাত্র উপদেষ্টাদের বা অন্য কাউকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন। সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয়, তার দায়-দায়িত্ব আমাদের প্রতিটি উপদেষ্টার। আমাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশ্নে কোনো দ্বিমত নেই। তবে পদ্ধতি নিয়ে সবার নিজস্ব মত থাকতেই পারে।”

আইসিটি আইন সংশোধন এবং আইনগত প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের মনে রাখতে হবে, আইসিটি আইন চাইলেই আমরা কয়েকদিনের মধ্যে সংশোধন করতে পারবো। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সন্ত্রাস দমন আইনসহ অন্যান্য আইনও আছে। কাজেই আইন কোনো সমস্যা নয়। রাজনৈতিক দলগুলো যদি আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চায়, বা বিচারিক আদালত এ বিষয়ে কোনো পর্যবেক্ষণ বা রায় দেয়, তাহলে অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে। আমরা সেই প্রত্যাশায় আছি। ইনশাল্লাহ্।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *