
আরফান হাবিব, বান্দরবান
বিয়ের একবছর পরেও কলিগরা আমাকে জিজ্ঞেস করে আমাদের এফেয়ার ম্যারেজ কি-না? আমি লাজুক মুখে
তাকাই, কিছু বলতে পারিনা। ঘরে বউ প্রতিদিন ফেইসবুক হিস্ট্রি চেক করে আর বিগত সব স্টাটাস নিয়ে
সন্দেহ করে। এটা কোন এক্সকে নিয়ে লিখেছো, কয়টা এফেয়ার ছিলো… আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখি
শুধু। ওকে বুঝাতে পারিনা এ শতাব্দীর প্রথম দশকের আমার দ্বিতীয় দশকের বেড়ে উঠাদের চেয়ে আলাদা। মধ্যবিত্ত
পরিবারের সবচেয়ে বড় চাহিদা একটা চাকুরি, ব্যস্ত ছিলাম সেটা নিয়ে। বউকে সারপ্রাইজ দিতে ইচ্ছে
করে, তাই লুকিয়ে ওর একটা কাপড় নিয়ে টেইলার্সকে দিই মাপের জন্য সাথে আমার পছন্দের গজ কাপড়।
ভেবেছিলাম সেলাই হলে সারপ্রাইজ দিবো। হলো উল্টো, বাসায় কাপড়টা না পেয়ে ছাদে সব ভাবির সাথে
সে একটা রীতিমতো হাঙ্গমা লাগিয়ে দিলো। আমি সাহস করে কিছু আর বলতে পারিনি। কিছু দিন সব
ভুল থাকলাম। টেইলার্স থেকে কাপড় আনতে যাই নি দেখে টেইলর ফোন করে। ফোনে কার সাথে কি নিয়ে
কথা হচ্ছে এ নিয়ে বৌ আবার সন্দেহ করলে উত্তর দিতে পারিনা। উপায় না দেখে বউকে নিয়ে টেইলার্স এ
গেলে বউ সব বুঝতে পারে। বউ মায়ামাখা চেহারা নিয়ে তাকালে এ প্রথম আমি ও চোখ চোখ রেখে বলতে
পারি – ভালোবাসি।