Monday, July 28
Shadow

ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলের শিথিলতা: “গাজায় ত্রাণ দুর্ভিক্ষ ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয়” বলছে জাতিসংঘ

গাজার মানবিক সংকট চরমে পৌঁছালেও ইসরায়েল সামান্য কিছু ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিলেও তা চরম খাদ্যঘাটতি ও স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঠেকাতে যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

গাজা প্রশাসন জানায়, সোমবার আরও ৬ জন ফিলিস্তিনি—যার মধ্যে ২ শিশু রয়েছে—অনাহারে মারা গেছেন। এ নিয়ে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ক্ষুধাজনিত কারণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৩ জনে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েল কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। তবে সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, এই পরিমাণ সহায়তা “দুর্ভিক্ষ ও ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট রোধ করার জন্য যথেষ্ট নয়।”

ইসরায়েল যদিও প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য “মানবিক বিরতি” দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, তারপরও গাজায় হামলা থেমে নেই। সোমবার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৬৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩৪ জন ছিলেন ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাধারণ মানুষ।

ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ৫৯,৭৩৩ জন নিহত হয়েছেন এবং ১,৪৪,৪৭৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০-এর বেশি মানুষ জিম্মি হয়েছিলেন।

যুদ্ধের ভয়াবহতা ও খাদ্য সংকটের মধ্যে ত্রাণ প্রবেশের কিছুটা অনুমতি দেওয়া হলেও জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, পূর্ণাঙ্গ মানবিক সহায়তা ছাড়া গাজায় দুর্ভিক্ষ, অপুষ্টি ও রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আরও বাড়বে।

গাজার পরিস্থিতি এখন এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে, যেখানে প্রতিদিন শিশু ও বেসামরিক মানুষের মৃত্যু সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *