Saturday, July 26
Shadow

ঢাকার উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত :  বাংলাদেশে ৪১ বছরে ভয়ঙ্কর যত বিমান দুর্ঘটনা 

ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ, প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি  : ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে  বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ  বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে। এরপর  মাইলস্টোন কলেজ সংলগ্ন মাঠে ‘এফ-৭ বিজিআই’ মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ সময় স্কুল শাখায় প্রথম শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলমান ছিল।  বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত মঙ্গলবার বিকাল পযন্ত  ৩১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। আহত হয়েছেন আরোও ১৬৫ জন। যাদের অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এদিকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও বিমানবাহিনী সূত্রে জানা গেছে শুধু ৩৪ বছরে বিমান বাহিনীর ৩২টি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এর মধ্যে এর মধ্যে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ছিল সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি — একদিনেই ৪৪টি বিমান বিধ্বস্ত হয়।

এছাড়া বিমান বাহিনীর বেশিরভাগ দুর্ঘটনা প্রশিক্ষণ চলাকালেই ঘটে, যা পিটি-৬, ইয়াক-১৩০, এল-৩৯ বা এফ-৭ টাইপ বিমানের ক্ষেত্রে বেশি দেখা গেছে। প্রায় প্রতি দশকেই ফ্লাইট ক্যাডেট এবং স্কোয়াড্রন লিডারদের প্রাণহানি ঘটেছে।

তবে উত্তরার দুর্ঘটনা এ তালিকায় বিরল ও ভয়াবহ সংযোজন, যেখানে যুদ্ধবিমান সরাসরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়ে এতজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৯৯১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সকল বড় বিমান দুর্ঘটনার তালিকা তুলে ধরা হলো, যেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিংবা প্রাণহানি ঘটেছে—

৯ মে ২০২৪ – ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান, কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিধ্বস্ত; স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ নিহত

২৩ নভেম্বর ২০১৮ – এফ-৭ বিজি যুদ্ধবিমান, টাঙ্গাইলে রকেট ফায়ারিং অনুশীলনের সময় বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

১ জুলাই ২০১৮ – কে-৮ডব্লিউ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত, দুই পাইলট নিহত

২ জানুয়ারি ২০১৮ – মিল এমআই-১৭ হেলিকপ্টার, শ্রীমঙ্গলে বিধ্বস্ত, কুয়েতি সামরিক কর্মকর্তা-সহ

২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ – দুইটি ইয়াক-১৩০ কক্সবাজারে বিধ্বস্ত

১১ জুলাই ২০১৭ – ইয়াক-১৩০ চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত, পাইলটরা ইজেক্ট করেন

২১ জুলাই ২০১৫ – এমআই-১৭১এসএইচ হেলিকপ্টার, মিরসরাইয়ে জরুরি অবতরণকালে ক্ষতিগ্রস্ত

২৯ জুন ২০১৫ – এফ-৭এমবি যুদ্ধবিমান, পতেঙ্গা উপকূলে বিধ্বস্ত, ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট তাহমিদ নিহত

১৩ মে ২০১৫ – এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার, শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত, ১ প্রশিক্ষক নিহত

৩০ এপ্রিল ২০১৪ – পিটি-৬ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ – পিটি-৬ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

২০ মে ২০১৩ – এল-৩৯ প্রশিক্ষণ বিমান, যশোরে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে

১৪ জুলাই ২০১৩ – ন্যাঞ্ছাং এ-৫ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

৮ এপ্রিল ২০১২ – এল-৩৯ অ্যালবাট্রস জেট ট্রেনার, মধুপুরে বিধ্বস্ত, ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট রেজা শরীফ নিহত

২০ ডিসেম্বর ২০১০ – পিটি-৬ প্রশিক্ষণ বিমান, বরিশালে বিধ্বস্ত, দুই স্কোয়াড্রন লিডার নিহত

২০১০ – এফ-৭এমবি যুদ্ধবিমান, পতেঙ্গায় বিধ্বস্ত

২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ – পিটি-৬ প্রশিক্ষণ বিমান, কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত

২২ অক্টোবর ২০০৯ – পিটি-৬ ট্রেনার বিমান, বগুড়া সদরে বিধ্বস্ত

১৬ জুন ২০০৯ – এফটি-৬ যুদ্ধবিমান, চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে বিধ্বস্ত

৮ এপ্রিল ২০০৮ – এফ-৭এমবি যুদ্ধবিমান, টাঙ্গাইলের পাহাড়িয়া গ্রামে বিধ্বস্ত, স্কোয়াড্রন লিডার মোরশেদ নিহত

৯ এপ্রিল ২০০৭ – পিটি-৬ ট্রেনিং বিমান, যশোরে বিধ্বস্ত, ফ্লাইট ক্যাডেট ফয়সাল মাহমুদ নিহত

২৪ এপ্রিল ২০০৬ – পিটি-৬, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহে বিধ্বস্ত, ফ্লাইট ক্যাডেট তানজুল ইসলাম নিহত

৭ জুন ২০০৫ – এফ-৭এমবি যুদ্ধবিমান, উত্তরায় বহুতল ভবনের সঙ্গে সংঘর্ষ

৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ – পিটি-৬ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

২০০৩ – পিটি-৬ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

১৫ নভেম্বর ২০০৩ – পাইপার সেসনা এস-২ বিমান বিধ্বস্ত

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৩ – এফটি-৭বি বিমান বিধ্বস্ত

১৯ অক্টোবর ২০০২ – এমআই-১৭-২০০ হেলিকপ্টার, কক্সবাজার উখিয়ায় বিধ্বস্ত, ৪ জন নিহত।

৩০ জুলাই ২০০২ – এ-৫সি যুদ্ধবিমান, চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত, ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট আদনান নিহত

৭ জানুয়ারি ২০০১ – এফটি-৭বি ট্রেনার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ মহসিন নিহত

১৭ নভেম্বর ১৯৯৮ – ন্যাঞ্ছাং এ-৫সি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

২৬ অক্টোবর ১৯৯৮ – এফ-৭এমবি বিধ্বস্ত

৮ মে ১৯৯৬ – একটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

১৯৯৪ – একটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

১৯৯৩ – দুটি পিটি-৬ ট্রেনিং বিমান সংঘর্ষ, তিন পাইলট নিহত

১৯৯৩ – একটি এফটি-৫ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট কুদ্দুস নিহত

৩০ এপ্রিল ১৯৯১ – ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ৪০টি এফ-৬ এবং ৪টি মিল-৮ হেলিকপ্টার সম্পূর্ণ ধ্বংস।

> বাংলাদেশের কয়েকটি বিমানের ভাগ্যেও জুটেছে এমন ঘটনা। তেমন কিছু আলোচিত বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত—

> ১৯৮৪ সাল

১৯৮৪ সালের ৫ আগস্ট ঢাকায় খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণ করার সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফকার এফ২৭-৬০০ বিমানটি বর্তমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি একটি জলাভূমির মধ্যে ক্র্যাশ করে। বিমানটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বিমানবন্দর থেকে পূর্বনির্ধারিত ঘরোয়া যাত্রী ফ্লাইট পরিচালনা করছিল। এতে ৪ জন ক্রু ও ৪৫ জন যাত্রীসহ সবাই নিহত হন।

> ১৯৯৭ সাল

১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর ৮৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ফকার এফ২৮-৪০০০ মডেলের বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৬০৯ ঢাকা থেকে সিলেট যাচ্ছিল। সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় কুয়াশার কারণে রানওয়ের পাদদেশ থেকে ৫ থেকে সাড়ে ৫ কিলোমিটার দূরে উমাইরগাঁও নামক স্থানের একটি ধানক্ষেতে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৭ জন যাত্রী অহত হন।

> ২০০৪ সাল

২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর আবারও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা ঘটে। এটিও ১৯৯৭ সালে দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানের মডেলের অনুরুপ ফকার এফ২৮-৪০০০ মডেল। সেদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৬০১ ঢাকা থেকে সিলেট যাচ্ছিল। অবতরণের পর রানওয়ে ভেজা থাকার কারণে বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে খাঁদে পড়ে যায়। এতে ৭৯ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রুর মধ্যে ২ জন যাত্রী আহত হন।

> ২০১৫ সাল

২০১৫ সালের আগস্ট মাসে সিলেট বিমানবন্দরের রানওয়েতে আরেক দফা দুর্ঘটনা ঘটে। সেদিন দুবাই থেকে সরাসরি আসা উড়োজাহাজে ২২০ জন যাত্রী ছিলেন। ওই সময় বিজি-৫২ বিমানের ডানদিকের ইঞ্জিনের ভেতর পাখি ঢুকে পড়ে। তখন চারটি ব্লেড ভেঙে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। সেদিন সকাল ৭টায় রানওয়েতে অবতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

> ২০১৫ সাল

২০১৫ সালের ৯ মার্চ কক্সবাজারে একটি কার্গো বিমান বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়। সে ঘটনায় পাইলটসহ ৩ জন নিহত হন। উড্ডয়নের ৫ মিনিটের মাথায় সাগরে আছড়ে পড়ে বিমানটি।

 >> বিমান দুর্ঘটনার কারণ ও  প্রতিকার

> বিমান দুর্ঘটনার কারণ:-

* পাইলটের ত্রুটি:- পাইলটের ভুল সিদ্ধান্ত, অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, ক্লান্তি, বা চাপের কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

* যান্ত্রিক ত্রুটি:- বিমানের যন্ত্রাংশ বা সিস্টেমের ত্রুটি দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। যেমন, ইঞ্জিনের সমস্যা, ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমের ত্রুটি, ইত্যাদি। 

* আবহাওয়া:- খারাপ আবহাওয়া, যেমন- ঝড়, বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা ইত্যাদি বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে পারে এবং দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। 

* অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমস্যা:- নেভিগেশন সিস্টেমে ত্রুটি, যোগাযোগে সমস্যা, বা অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে দুর্ঘটনা হতে পারে।

* ভূমিকম্প বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ:-ভূমিকম্প বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেও বিমান দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

> বিমান দুর্ঘটনা প্রতিকার:-

* নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ:-বিমানের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং টেকনিক্যাল চেক করা উচিত, যাতে কোনো ত্রুটি থাকলে তা দ্রুত চিহ্নিত করে সমাধান করা যায়। 

* পাইলটদের উন্নত প্রশিক্ষণ:-পাইলটদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত, যাতে তারা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে। 

* আবহাওয়া পূর্বাভাসের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার:-আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত, যাতে খারাপ আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। 

* জরুরি অবতরণের জন্য উন্নত প্রযুক্তি:-বিমানের জরুরি অবতরণের জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত, যাতে বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করতে পারে। 

* অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা:- বিমানে উন্নত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকা উচিত, যাতে আগুন লাগলে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 

* ব্ল্যাক বক্স পুনরুদ্ধার:- বিমান দুর্ঘটনায় ব্ল্যাক বক্স (ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার) উদ্ধার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি থেকে দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়। 

* জরুরী অবতরণের জন্য প্রস্তুতি:- যাত্রীদের জরুরি অবতরণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশাবলী কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। 

* ধোঁয়া থেকে বাঁচা:-আগুন লাগলে দ্রুত নাক ও মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে নিতে হবে, যাতে ধোঁয়া শ্বাসনালীতে প্রবেশ করতে না পারে। 

* দ্রুত বিমান থেকে বের হওয়া:-আগুন বা ধোঁয়ার কারণে দেরি না করে দ্রুত বিমান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। 

পরিশেষে বলতে চাই, বিমান দূর্ঘটনা একটি জটিল সমস্যা, যা বিভিন্ন কারণের সমন্বয়ে ঘটে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটি, আবহাওয়ার অবস্থা, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে পাইলটের ভুল বা ত্রুটি। বিমান দূর্ঘটনা প্রতিরোধে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নত প্রশিক্ষণ, এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য।তাই বিমান দূর্ঘটনা একটি সম্মিলিত সমস্যা, যা প্রতিরোধ করার জন্য বিমান সংস্থা, সরকার এবং যাত্রী সকলেরই সচেতন হতে হবে।

এছাড়াও, যাত্রী নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *