– শাহ আলম জাহাঙ্গীর
শ্রাবণধারার মতো
অঝোর ধারায় ঝরছে অশ্রু
বইছে শোকের অবিরল ধারা
শতসহস্র স্রোতস্বিনী
কচিমুখের করুণকান্না
বুক ফেটে চৌচির
আগুনের লেলিহান শিখা
কেড়ে নিলো কতো কচি প্রাণ
কতো আশা কতো স্বপ্ন কচি বুকে
স্বপ্নবাজ শিশুশিক্ষার্থীরা পুড়ে গেলো নিমিষে
শত মা-বাবার কলিজার টুকরো
ছাই হলো চোখের পলকে
এইখানে এই সবুজ চত্বরে
এই প্রিয় প্রাঙ্গণে
আর ফেরা হবেনা
পিঠে কাঁধে স্কুলব্যাগ ঝুলিয়ে
দৌড়ে হৈ-হুল্লোড় করে
মুখরিত হবে না ক্যাম্পাস
বই খাতা পেন্সিলটিফিন বক্স
জুতো, আইডি কার্ড
সবি পড়ে আছে বিক্ষিপ্ত ভাবে
জীবন্ত লাশ হলো শিক্ষক শিক্ষার্থী
ছুটির ঘন্টা বাজলো ঠিকই
সেতো জীবনের শেষঘন্টা
অমোঘ নিয়তি ওদের
পাষাণে মাথাকুটে মরে মা_বাবা,আত্মীয়স্বজন
সতীর্থ শত সহপাঠীদের বুকফাটা কান্নায়
শোকে আজ বিদীর্ণ হৃদয়
প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুণ্ডলীতে
আবৃত সমস্ত আকাশ।।
জুনায়েত, রাইসামনি, উক্য চিং মারমার মতো
কতো কচিপ্রাণ নিমিষেই হলো বলি
তরুণ বৈমানিক তৌকিরের
স্বপ্ন নি:শেষ হলো
নিভে গেলো জীবনপ্রদীপ
খণ্ড বিখণ্ড হলো শিশুদের কোমলদেহ
দলা পাকিয়ে পড়ে রইলো মেঝেতে
শিশুর জীবন বাঁচাতে শিক্ষক মেহেরীন
নিজের জীবন করলো তুচ্ছ
নিজে দগ্ধ হয়ে বাঁচালো কচিপ্রাণ কতো
সেই শোকে মুহ্যমান আজ
স্তব্ধ গোটাজাতি
শোকার্ত মানুষের আহাজারিতে
আকাশবাতাস হলো ভারি
ঢেকে গেলো আজ
বিষাদের কালোমেঘে।।
এ বেদনা সইবার নয়
বুক ফেটে যায়
ভেসে যায় বুক নয়নজলে
শিকারী ঈগলের মতো তীব্র গতিতে
র্ছোঁ মেরে নিলো কতো প্রাণ
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণবিমান।
২২ জুলাই ২০২৫
আবদুল মজিদ কলেজ
কুমিল্লা।