
চলতি বছরের শুরু থেকে দক্ষিণ চীনের হাইনান প্রদেশের সানশা শহরের জলভাগে প্রায় ১০০টি সামুদ্রিক কচ্ছপের বাসা পাওয়া গেছে। চীনের জাতীয় প্রথম শ্রেণির সুরক্ষা নীতির আরও রয়েছে এই সামুদ্রিক কচ্ছপগুলো।
২০০৭ সালে চীনা সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে সিশার ইয়ংশিং দ্বীপে সানশা শহর প্রতিষ্ঠা করে। এই শহরের আওতাধীন রয়েছে সিশা, চোংশা এবং নানশা দ্বীপপুঞ্জ এবং সংলগ্ন জলাশয়।
সিশার সমুদ্র এলাকায় সবুজ সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম পাড়ার মৌসুম চলছে। সম্প্রতি টহল কর্মকর্তারা সিশা দ্বীপপুঞ্জের পেইতাও দ্বীপে কচ্ছপগুলোর ডিম পাড়ার জায়গা খুঁজে পেয়েছেন। পেইতাও দ্বীপটি চীনে সবুজ সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম পাড়ার সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক স্থান। এই বছর এখানে প্রায় ১০০টি বাসা পাওয়া গেছে।
সিশা উপকূলীয় সম্প্রদায়ের টহলদার চোং চিয়াংথাও বলেন, ‘বর্তমানে এখানে সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিমের চারটি বাসা রয়েছে। সামুদ্রিক কচ্ছপের ইনকিউবেশন সময়কাল সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ দিন।’
নানশা দ্বীপপুঞ্জের অংশ ইয়ংশু রিফেও একটি সবুজ সামুদ্রিক কচ্ছপের প্রজননস্থল পাওয়া গেছে। সবুজ সামুদ্রিক কচ্ছপদের সফলভাবে প্রজনন করতে সাহায্য করার জন্য সানশা সিটি একটি বৈজ্ঞানিক প্রজনন সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। এই ব্যবস্থায় চব্বিশ ঘন্টা সবুজ সামুদ্রিক কচ্ছপদের পর্যবেক্ষণ করা হয়।
সানশা মেরিন রিজার্ভ ম্যানেজমেন্ট ব্যুরোর কর্মী ইউ ইয়াংফেই জানান, ‘এআই ক্যামেরার সংখ্যা ছয়টি থেকে বাড়িয়ে ১৪টি করা হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম পাড়ার স্থানগুলো আরও কার্যকরভাবে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হচ্ছে।‘
সূত্র: সিএমজি