
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ৫৮ দিনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। দীর্ঘ বিরতির পর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পটুয়াখালী উপকূলসহ দেশের প্রধান মৎস্যঘাটগুলোতে বাণিজ্যিক ফিশিং জাহাজ (ট্রলার) গুলো এখন সমুদ্রে নামার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। মাছ ধরার এই মৌসুমকে সামনে রেখে উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে জেলেদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যেই সরকার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে থাকে। এই সময়কালে মাছের অবাধ প্রজনন ও বিচরণের সুযোগ তৈরি হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে এসব জাহাজ মেরামত, রং করাসহ বিভিন্ন কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সেরে নিয়েছে। এখন এগুলোর ইঞ্জিন পরীক্ষা, বরফ মজুত, জ্বালানি তেল ভরার কাজ শেষ পর্যায়ে। অধিকাংশ জাহাজেই ইতোমধ্যে নাবিক ও জেলে দল উঠতে শুরু করেছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ফিশারিঘাট এলাকায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে নতুন উদ্যমে কর্মচাঞ্চল্য। জাহাজ মালিকরা আশা করছেন নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী প্রথম ধাপে ভালো পরিমাণে ইলিশ ও অন্যান্য মূল্যবান সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়বে। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, বরফ, ডিজেল, খাবার, জাল—সব প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সূত্র:- সিএমজি