
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে শিক্ষার্থীদের অনুভূতি, স্মৃতি আর স্বপ্ন মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এক উজ্জ্বল ক্যানভাস। কারও কাছে এটি মুক্তচিন্তার বাতিঘর, কারও কাছে স্বপ্নের আঁতুড়ঘর। জন্মদিনে শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে ভালোবাসা, প্রত্যাশা আর পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা; নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় হোক মানবতা, জ্ঞান ও মননের আলোকশিখা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে কেউ তুলে ধরেছেন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এগিয়ে চলার প্রত্যয়, আবার কেউ ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিয়েছেন এক আধুনিক, গবেষণাধর্মী ও শিক্ষার্থীবান্ধব বিদ্যাপীঠের। শিক্ষার্থীদের ভেতর থেকে উঠে আসা সেই অনুভব, উপলব্ধি আর ভাবনাগুলোই তুলে ধরেছেন ইকবাল মাহমুদ
বিশ্ববিদ্যালয় হোক মুক্তচিন্তার বাতিঘর:
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আমার কাছে কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি এক আত্মদর্শনের নাম। এখানে প্রতিটি ইট, প্রতিটি গাছ, প্রতিটি ক্লাসরুম যেন তরুণ মনের জাগরণে আহ্বান জানায়। আমার শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাববাহী সময়গুলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিমণ্ডলে গড়ে উঠেছে। একাডেমিক জ্ঞানের পাশাপাশি আমি শিখেছি মূল্যবোধ, নেতৃত্ব, সৃজনশীলতা এবং মানবিক দায়িত্ববোধের বাস্তব অনুশীলন।
এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে চিন্তার স্বাধীনতা দিয়েছে, দিয়েছে প্রশ্ন করার সাহস। সাহিত্যচর্চা, বিতর্ক, গবেষণা কিংবা সাংগঠনিক কাজ সব মিলিয়ে এটি হয়ে উঠেছে আমার স্বপ্নের আঁতুড়ঘর। আমি বিশ্বাস করি, এখানকার পাঠশালা কেবল মেধা নয়, মননও গড়ার প্রতিষ্ঠান।বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি সুযোগ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা রয়েছে। তাদের উচিত এই সুযোগগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করা। একইসাথে দরকার আত্মনিয়ন্ত্রণ, সময়ের সঠিক ব্যবহার, এবং সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ে ভাবার গভীর মনোভাব। কেবল বই মুখস্থ করে নয়, বরং একজন সচেতন, জ্ঞানপিপাসু ও মানবিক মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার চর্চা করা জরুরি।
নতুনদের প্রতি আমার আহ্বান—তোমাদের হাতে সময় আছে, সম্ভাবনা আছে, আছে গড়ার শক্তি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন যেন কেবল পরীক্ষার প্রস্তুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং হয়ে উঠুক একজন সম্পূর্ণ মানুষের অভিযাত্রা।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমি প্রার্থনা করি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় হোক মুক্তচিন্তার বাতিঘর, জ্ঞান ও বিবেকের রত্নভাণ্ডার। শুভ জন্মদিন, প্রিয় বিদ্যাপীঠ!

শাহ বিলিয়া জুলফিকার
শিক্ষার্থী,৩য় বর্ষ, আইন ও বিচার বিভাগ
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
নজরুল বেঁচে থাকুক আমাদের চিন্তায়, চেতনায়, সাম্য, মানবতা ও জ্ঞানের মশাল হয়ে:
২০০৬ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে দেশের ২১তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় কবির স্মৃতিবিজড়িত শুকনি বিলের ধারের বটগাছকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই বিদ্যাপীঠ শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি হয়ে উঠেছে হাজারো তরুণ মননের আঁতুড়ঘর।
১৯ বছরের পথচলায় বদলেছে অনেক কিছুই, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে, সম্প্রসারিত হয়েছে ক্যাম্পাসের পরিসর, উন্নয়ন ঘটেছে অবকাঠামোগত দিক থেকেও। সেই সঙ্গে বেড়েছে শিক্ষার মান, গবেষণার সুযোগ এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক সক্ষমতা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য এর নামের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক বিস্ময়-মানব, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁর বিদ্রোহী চেতনা, মানবিক মূল্যবোধ ও সাম্যের আহ্বান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেরণার মূলভিত্তি। এখানে এসে আমরা শুধু পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন করি না, বরং জীবনকে দেখার এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গিও পাই।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দেয় ক্লাসরুমের বাইরে নিজেকে গড়ার অসংখ্য সুযোগ। সাহিত্য, বিতর্ক, সাংবাদিকতা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ নানান ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিকশিত করতে পারে। এখানকার ক্লাবগুলো হয়ে উঠেছে দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যকর প্ল্যাটফর্ম।
নানান সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে চলছে আপন ধারায়। এখানকার শিক্ষার্থীরা আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ছড়িয়ে পড়ছে. নিজস্ব চিন্তা, সংস্কৃতি ও নেতৃত্ব নিয়ে। তারা গড়ে তুলছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গর্বিত পরিচয়।
আজ এই প্রতিষ্ঠানের জন্মদিনে আমাদের একটাই প্রত্যাশা, এই বিশ্ববিদ্যালয় হোক শিক্ষা ও গবেষণার স্বর্ণভূমি, উদ্ভাবনের কেন্দ্র। নজরুল বেঁচে থাকুক আমাদের চিন্তায়, চেতনায়, সাম্য, মানবতা ও জ্ঞানের মশাল হয়ে।
শুভ জন্মদিন, প্রিয় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়।
তুমি বাঁচো হাজার বছর, গড়ে তোলো আরও সহস্র মননশীল প্রাণ।

শাহাদাৎ হোসেন
শিক্ষার্থী, ৪র্থ বর্ষ, আইন ও বিচার বিভাগ
সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব
স্বপ্ন ও সম্ভাবনার ক্যানভাস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়:
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি জীবন্ত ক্যানভাস। যেখানে তরুণ মনের স্বপ্ন রঙিন হয়, সম্ভাবনা নতুন আকার পায়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কোণে-গাছের ছায়ায়, ক্লাসরুমের প্রাণবন্ত আলোচনায়, কিংবা ক্যাম্পাসের উৎসবমুখর পরিবেশে-যেন এক অদৃশ্য শক্তি তরুণদের আহ্বান জানায়, তাদের মধ্যে জাগিয়ে তোলে নতুন চিন্তা, নতুন সৃষ্টির তাড়না। আমার জীবনের সবচেয়ে প্রভাবশালী অধ্যায়গুলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে, এর পরিমণ্ডলে রচিত হয়েছে।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে শিখিয়েছে জ্ঞানের গভীরতা, মানবিকতার প্রসারতা, আর চিন্তার স্বাধীনতা। এখানে শিক্ষা কেবল পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,এটি এক জীবনদর্শন, যা শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করতে , বিশ্লেষণ করতে, এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে শেখায়। সাহিত্যের আলোচনা থেকে শুরু করে বিতর্কের মঞ্চ, গবেষণার গভীরতা থেকে সাংগঠনিক নেতৃত্ব-এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে দিয়েছে। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আমি কেবল একজন শিক্ষার্থী নই, বরং একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, একজন স্রষ্টা।
ক্যাম্পাসে প্রতিটি দিন আমার জন্য নতুন শেখার সুযোগ। বইয়ের পাতা থেকে জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি আমি সময়ের মূল্য, সহযোগিতার শক্তি ও দায়িত্ববান হতে শিখেছি । এখানকার সাংস্কৃতিক উৎসব, সেমিনার, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-সবকিছুই আমাকে একজন সচেতন ও সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমার স্বপ্নের আঁতুড়ঘর, যেখানে আমি সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে শিখেছি।
আজকের শিক্ষার্থীদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় এক অপার সম্ভাবনার দুয়ার। প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের হাতে রয়েছে জ্ঞানের বিশাল ভাণ্ডার। কিন্তু এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হলে আত্মনিয়ন্ত্রণ, সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং সমাজ ও দেশের প্রতি গভীর দায়িত্ববোধ থাকা দরকার। শিক্ষা কেবল ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যম নয়। এটি একটি যাত্রা, যা শিক্ষার্থীদের সচেতন, জ্ঞানপিপাসু, এবং মানবিক মানুষে পরিণত করে।

সাফিনা গাজী এমি
শিক্ষার্থী, ৩য় বর্ষ, নৃবিজ্ঞান বিভাগ।
এই বিদ্যাপীঠ হোক জ্ঞান, সংস্কৃতি ও মানবিকতা চর্চার কেন্দ্র:
শুরু হয় এক নতুন স্বপ্ন নিয়ে। আগে পড়াশোনা করতাম পদার্থবিজ্ঞানে, কিন্তু সৃজনশীলতা চর্চা ও আত্ম-প্রকাশের তাগিদ থেকেই জিএসটিতে উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে নজরুলের স্মৃতি বিজরিত এলাকায় অবস্থিত ক্যাম্পাসের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হই। এই এক-দেড় বছরে বিষয়গত জ্ঞানের পাশাপাশি নিজের প্রতিভাগুলোকে শানিত করার সুযোগ পেয়েছি।
আবৃত্তি, বিতর্ক ও লেখালেখির প্রতি আগ্রহ আগে থেকেই ছিল, কিন্তু এখানে এসে সে আগ্রহ পেয়েছে সঠিক দিকনির্দেশনা ও প্ল্যাটফর্ম এবং নতুন মাত্রা। থিয়েটার বা মঞ্চ নাটক,উপস্থাপনা, টিভি অনুষ্ঠান, সাংবাদিকতা ইত্যাদি আয়োজনে অংশগ্রহণের ফলে ক্রমাগত অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাড়ছে। এরই মাঝে বাংলাদেশ বেতার ময়মনসিংহে উপস্থাপক ও সংবাদ পাঠক হিসেবে কাজ করছি। যা এ ক্যাম্পাসে এসে অন্যতম একটি বড় পাওয়া।
আমি মনে করি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও গাইডেন্স সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে কাজ করে আমাদের জন্য । তাঁরা পাঠদানের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ না থেকে আমাদের প্রতিভা বিকাশ, সৃজনশীলতা বৃদ্ধি, মানবিক গুণাবলী অর্জনের দিকেও সমান মনোযোগ দেন।
তবে কিছু সীমাবদ্ধতা থেকেই যায়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ময়মনসিংহ শহর থেকে দূরে ও ঢাকার বাইরে হওয়ায় কিছু আধুনিক সুবিধা এখনও পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ করে গবেষণা কার্যক্রম, ব্যবহারিক বিষয়ের প্রশিক্ষণ ও রিসোর্স বাড়ানো জরুরি। লব্ধ জ্ঞানার্জনকে চর্চা করার জন্য কর্মজীবনের প্রস্তুতি স্বরূপ কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক।
প্রকৃতির সৌন্দর্যে ঘেরা নজরুলের এই ক্যাম্পাস জারুল, সোনালু আর কৃষ্ণচূড়ার রঙে ভরে উঠলে- মনটা পুলকিত হয়। দ্রুতগতিতে চলা নির্মাণকাজ আমাদের আশাবাদী করে তোলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম জন্মদিনে আমার একান্ত কামনা- এই বিদ্যাপীঠ হোক জ্ঞান, সংস্কৃতি ও মানবিকতা চর্চার কেন্দ্র। শুভ জন্মদিন প্রিয় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়।

নাজমুস সায়াদাত সিফাত
শিক্ষার্থী, ২য় বর্ষ ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ
উপস্থাপক ও সংবাদ পাঠক, বাংলাদেশ বেতার, ময়মনসিংহ শাখা।
শিক্ষার্থীবান্ধব এক নতুন আঙ্গিনা হবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়:
২০০৫ সালের রাষ্ট্রপতির ঘোষণার পর ২০০৬ সালের ৩ জুন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশালের নামাপাড়া বটতলায় যাত্রা শুরু করে দেশের ২১তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়—(জাককানইবি)। গৌরব ও সাফল্যের দেড় দশক পেরিয়ে আজ ২০তম বর্ষে পদার্পণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। যা দেশের উচ্চশিক্ষা অঙ্গনে এক অনন্য সংযোজন। নজরুলের অসাম্প্রদায়িকতা, মানবিকতা ও বিদ্রোহী চেতনাকে ধারণ করে এই বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেছিল। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানবিক উন্নয়নের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এই বিদ্যাপীঠ সাম্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে আছে নজরুল ভাবনার প্রতিফলন। ৫৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিড়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় নিজের অবস্থান গড়েছে গবেষণা, সাহিত্য, সমাজসেবা এবং সংস্কৃতিচর্চার সমন্বিত এক বলয়ে।বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সাফল্যের পেছনে রয়েছে একঝাঁক তরুণ ও মেধাবী শিক্ষক, উদ্যমী শিক্ষার্থী এবং দক্ষ প্রশাসনের একত্রিত প্রচেষ্টা। আগামী দিনে আমি চাই, নজরুল আঙ্গিনা হোক আরো দৃষ্টিনন্দন, সেশনজট মুক্ত, নিরাপদ ক্যাম্পাস,লাইব্রেরি হবে আধুনিক জ্ঞানাগার, যেখানে থাকবে ই-লাইব্রেরি ও নীরব পাঠের পরিবেশ। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণাকেন্দ্র, যেখানে থাকবে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক সুযোগ-সুবিধা,পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো, শিক্ষাবৃত্তি এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতা। নারী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির অবসানে হল সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে আবাসন সংকট নিরসন হোক।
শিক্ষার্থীবান্ধব এক নতুন আঙ্গিনা হবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়।সেই স্বপ্ন নিয়েই আমি প্রতিদিন এই আঙিনায় হাঁটি। শুভ জন্মদিন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

ফাইজুন্নাহার শান্তা
শিক্ষার্থী, ১ম বর্ষ, আইন ও বিচার বিভাগ।