
পূর্ণ চন্দ্র মণ্ডল, পাইকগাছা : পাইকগাছার চাঁদখালী বাজারের সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। নুরুল ইসলাম ও শফি গাজী নামের এলাকার দুই ভাই রাতের আঁধারে স্থাপনা নির্মাণ কাজ করছে এবং অবিলম্বে নির্মাণ কাজ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাজার কমিটি ও এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং এলাকায় প্রতিবাদ সভা করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অন্যদিকে আদালতের রায়ে বৈধভাবে নির্মাণ কাজ করছে বলে দাবি করেছে নির্মাণকারীরা।
প্রাপ্ত অভিযোগ এবং সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চাঁদখালী বাজারের পশ্চিম পাশে সরকারি পাবলিক টয়লেটের পাশে সরকারি জায়গায় স্থাপনা ( দোকান ঘর) নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এলাকাবাসী এবং বাজার কমিটির লোকজন অভিযোগ করেন গত দুই দিনের ব্যবধানে বাথরুমে যাওয়ার রাস্তার দক্ষিণ পাশে দুই টি টিন শেডের ঘর এবং উত্তর পাশে একটি পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। রাতের আঁধারে এ কাজ করা হয়েছে তারা জানান। চাদখালী ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আরজান আলী জানান যেখানে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে এই জায়গা সম্পূর্ণ সরকারি এবং খালি জায়গা পড়েছিল, রাতের আঁধারে এখানে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এধরণের নির্মাণ কাজ বন্ধে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সাবেক ছাত্রনেতা নাজমুল হুদা মিন্টু বলেন একটি চক্র এভাবেই ঘর নির্মাণ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে আসছে। এতে সরকারি সম্পদ এবং বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি সঠিক তদন্ত এবং যাচাই বাছাই করে বরাদ্দ দেওয়া সহ অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান বলেন বাজার উন্নয়ন প্রয়োজন এজন্য সবাই কে সহনশীল এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া দরকার। বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান গাজী বলেন ৩০/৪০ লোক নিয়ে রাতের আঁধারে নির্মাণ কাজ করছে, এসব অবৈধ স্থাপনার কাজ বন্ধ না করা গেলে বাজারের অনেক ক্ষতি হবে এবং ধীরে ধীরে সরকারি সব সম্পত্তি বেদখল হয়ে যাবে। ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্ল্যাহ সরদার বলেন বিষয় টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করা হয় এবং বাজারে কেউ যাতে অবৈধ কোন স্থাপনা গড়ে তুলতে না পারে সে ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় বিষয় টি তুলে ধরা হবে বলে তিনি জানান। এ প্রসঙ্গে নির্মাণকারীদের পক্ষে শহিদুল ইসলাম বলেন আমাদের অনূকূলে আদালতের ডিগ্রি এবং বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। আমরা সম্পূর্ণ বৈধভাবে নির্মাণ কাজ করছি বলে তিনি দাবি করেন। সহকারী কমিশনার ভূমি ইফতেখারুল ইসলাম শামীম বলেন অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তিনি প্রতিবেদন দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে উপজেলা ভূমি প্রশাসনের এ কর্মকর্তা জানান। বিষয়টি এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাজার কমিটি ও এলাকাবাসী।