
ইরানের পারমাণবিক ইস্যুর সমাধান যুদ্ধের মাধ্যমে সম্ভব নয় এবং হামলার বৈধতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি বলেন, সামরিক শক্তির অপব্যবহার কেবল সংঘাত ডেকে আনে এবং ঘৃণা তৈরি করে।
শুক্রবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল বারোরর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওয়াং ই।
মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ওয়াং বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক ইস্যুটি’ আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে সংলাপ ও আলোচনার একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হতে পারত, কিন্তু এখন তা নতুন করে সংকটে পড়েছে। চীন এই পরিস্থিতিতে অনুশোচনা প্রকাশ করছে এবং বলছে, অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
তিনি বলেন, চীনের অবস্থান পরিষ্কার। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ঘোষণা— তারা কখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না— এটিকে গুরুত্ব দেয় চীন। একইসঙ্গে, পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তাররোধ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তি ব্যবহারের অধিকারকে চীন সম্মান করে।
তিনি বলেন, নতুন আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার কঠোর নজরদারির অধীনে আনা সম্ভব।
ইসরায়েল-ইরান সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাত যেন আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সতর্ক করেন ওয়াং। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এক সার্বভৌম রাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করে নেতিবাচক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।
‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’—এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ওয়াং প্রশ্ন করেন, ‘শক্তিই যদি ঠিক-ভুল নির্ধারণ করে, তাহলে নিয়ম ও ন্যায়বিচারের জায়গা কোথায়?’
ওয়াং বলেন, ইরান ইস্যুর সমাধান ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান ছাড়া সম্ভব নয়। গাজায় মানবিক বিপর্যয় চলতে দেওয়া যায় না। দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান এখনো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা দূর করার একমাত্র বাস্তব উপায়, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এর পক্ষে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জাতিসংঘ ও তার নিরাপত্তা পরিষদকে উচিত শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখা, এবং এ লক্ষ্যে চীন ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে প্রস্তুত।
সূত্র: সিএমজি